সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও |
সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : মুঘল সম্রাটদের মধ্যে ৬ষ্ঠ ও সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তিশালী সম্রাট ছিলেন আওরঙ্গজেব। তিনি সম্রাট শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ধর্মভীরু প্রকৃতির শাসক ছিলেন।
মুঘল শাসকদের মধ্যে তিনি অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। টুপি সেলাই ও কুরআন শরিফের অনুবাদ করে তিনি জীবিকানির্বাহ করতেন। তার অনাড়ম্বর জীবন ও ধর্মভীরুতার জন্য তাকে জিন্দাপীর বলা হতো।
→ আওরঙ্গজেবের পরিচয় : নিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় তুলে ধরা হলো :
১. জন্ম ও পরিচয় : আওরঙ্গজেব ১৬১৮ সালের ৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শাহজাহান, মাতা মমতাজ মহল। তিনি সম্রাট শাহজাহানের চার পুত্রের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন।
তার জন্মের সময় নাম ছিল আবু মুজাফফর মহিউদ্দীন মুহম্মদ আওরঙ্গজেব আলমগীর। তিনি বাদশা আলমগীর বা বাদশা বাহাদুর নামেও পরিচিত ছিলেন।
২. প্রথম জীবন : ১৬৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ মে এক পাগলা হাতি তাকে আক্রমণ করলে তিনি গদা জাতীয় এক অস্ত্র দিয়ে হাতির শুড়ে আঘাত করে প্রাণে রক্ষা পান। তখন সম্রাট ১৬৬৪ সালে শাহজাহান তাকে বাহাদুর খেতাব দেন ৷
আওরঙ্গজেব প্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেন বুন্দেল খণ্ডে। রাজপুত নেতা জুঝার সিং-এর বিরুদ্ধে। এতে রাজপুত নেতা আত্মসমর্পণ করলে তাকে এখানকার জায়গীর প্রদান করা হয়।
৩. বিবাহ : সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৩৭ সালে ইরানের সাফাভী রাজবংশের রাজকন্যা দিলরাস বানু বেগমকে বিবাহ করেন। এছাড়া রাজপুত রাজকন্যাকে বিবাহ করেন ।
৪. যুদ্ধ পরিচালনা : সম্রাট আওরঙ্গজেবের জীবনটা মোটামুটি যুদ্ধ, বিগ্রহে কেটেছে বলা যায়। তিনি যুদ্ধবাজ মনোভাবের ছিলেন। তিনি খান্দেশ, বেরার, তেলেঙ্গানা ও দৌলতাবাদের শাসনকর্তা থাকাবস্থায় নাসিকের নিকটবর্তী বাগ্লানার শাহকে পরাস্ত করেন।
গুজরাটের শাসনকর্তা থাকার সময় তিনি উজবেকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং তাদের পরাজিত করেন। এছাড়াও তুর্কমেনিয়দের বিরুদ্ধে অভিযানেও সাফল্য লাভ করেন। এছাড়াও তিনি গোলকুণ্ডায় আক্রমণ করেন। বিজাপুরেও আওরঙ্গজেব অভিযান চালান ।
৫. সিংহাসন নিয়ে দ্বন্দ্ব : ১৬৫৭ সালে সম্রাট শাহজাহান অসুস্থ হয়ে পড়লে শাহজাদা দারাকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন। ফলে সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়।
প্রথমে আওরঙ্গজেব মুরাদের সাথে মিলিত হয়ে সুজাকে পরাজিত ও হত্যা করেন। পরে কৌশলে মুরাদকে বন্দি ও হত্যা করেন।
৬. সিংহাসন লাভ : মূলত দারাকে হত্যা করার পর এবং মুরাদকেও বন্দি ও পরে হত্যা করার পর তাঁর আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি শাহজাহানকে বন্দি করেন এবং ১৬৫৯ সালের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রাজ্যাভিষেক ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁর সিংহাসনে আরোহণের আগপর্যন্ত নিজের ভাইদের সাথে এবং পরবর্তীতে রাজপুত্র, মারাঠা, দাক্ষিণাত্য, আফগান, পাঠান, তুর্কি ও উজবেকদের সাথে যুদ্ধ-বিগ্রহে কাটিয়েছেন। এভাবে তিনি রাজ্য বিস্তার করেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও । যদি তোমাদের আজকের সম্রাট আওরঙ্গজেব কে ছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরিচয় দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।