সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও |
সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও
- অথবা, সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভ কিভাবে হয়েছিল?
উত্তর : ভূমিকা : ভারতীয় মধ্যযুগের ইতিহাসে মুঘল রাজবংশ সুদীর্ঘ কাল ধরে ভারতবর্ষ শাসন করেন। আর এসব শাসকদের মধ্যে সম্রাট আকবরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কারণ তার সুদীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের শাসনামলে মুঘল সাম্রাজ্য ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। সাম্রাজ্যে শাস্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ফিরিয়ে আনতে তিনি যেসব সংস্কার সাধন করেন, তাঁর জন্য তিনি আলোচিত। তবে সম্রাট আকবরের রাজ্য লাভ একটু ভিন্নভাবেই হয়েছিল ।
→ সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভ :
১. বাল্যজীবন : সম্রাট আকবর মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। আকবর খুবই চঞ্চল এবং ডানপিটে প্রকৃতির ছিলেন।
তিনি প্রচলিত শিক্ষাদীক্ষায় এতো বেশি মনোযোগী ছিলেন না, বরং তিনি অশ্ব চালনা, তলোয়ারবাজী, শিকার, খেলা ইত্যাদি বিষয়ে নিজের কৃতিত্ব দেখান ।
২. শাসনভার গ্রহণ : সম্রাট আকবরের শাসনভারের দায়িত্ব লাভ খুব অল্প বয়সে হয়েছিল। ১৫৫১ সালে তাকে গজনীর শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয়। এসময় রুকাইয়া বেগমের সাথে তাঁর বিয়ে হয়।
পরে তাঁকে গজনী থেকে পাঞ্জাবের শাসনভার দেওয়া হয়। তিনি বয়সে কম থাকলেও শাসনকার্য পরিচালনায় দক্ষতা দেখান ।
৩. মুঘল শাসক হিসেবে অভিষেক : তিনি গজনী ও পাঞ্জাবের শাসনকর্তা হিসেবে নিযুক্ত থাকা অবস্থায় একদিন ১৫৫৬ সালে সম্রাট হুমায়ূন জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য দ্রুত নামার সময় সিঁড়ি থেকে পড়ে মারা যান।
ফলে সম্রাট হুমায়ূনের বড় ছেলে হিসেবে ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে সম্রাট আকবর দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করে।
৪. সম্রাট হিসেবে দায়িত্ব পালন : ১৫৫৬ সালে একরকম | বিনা বাধায় সম্রাট আকবর দিল্লির সিংহাসনে বসেন। তবে এটা তো সহজ ছিল না।
মুঘল সাম্রাজ্যের মতো বিশাল সাম্রাজ্যের দায়িত্ব পালনে তখন বালক আকবরের পাশে থেকে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন বৈরাম খান ।
৫. সার্বভৌম ক্ষমতা লাভ : অতি অল্প বয়সে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করলেও বৈরাম খান আকবরের অভিভাবক হিসেবে মূলত সাম্রাজ্য পরিচালনা করেন।
মুঘল সাম্রাজ্যে বৈরাম খান খুবই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেন। ফলে সম্রাট আকবর তাকে সাম্রাজ্যের হুমকি মনে করেন। তাঁর হাত থেকে প্রকৃত শাসন ক্ষমতা গ্রহণে সম্রাট আকবরকে কঠোর নীতি অবলম্বন করতে হয়।
৬. মূল্যায়ন : মুঘল সম্রাট হিসেবে সম্রাট আকবর একজন সফল শাসক। তিনি প্রায় ৫০ বছর কাল মুঘল সাম্রাজ্য শাসন করেন। তাঁর সময়ে সাম্রাজ্যের প্রভূত উন্নতি হয়।
তিনি বাল্যকালে শাসনভার গ্রহণ করলেও মূলত বৈরাম খান প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যান। আকবর নিজ ক্ষমতাবলে বৈরাম খানের কাছ হতে নিজ সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আকবর ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক নক্ষত্র সমতুল্য। তিনি অল্প বয়সে সিংহাসনে বসলেও তাঁর বিরুদ্ধে পরিচালিত নানা ষড়যন্ত্র তিনি শক্ত হস্তে দমন করেন।
বিশেষ করে বৈরাম খানের কাছ থেকে নিজের সার্বভৌম ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে তার সাথে যুদ্ধ পর্যন্ত করতে হয়েছে। তবে আকবর নিজের বিচক্ষণতায় সুচতুর বৈরাম খানকেও পরাজিত করেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও । যদি তোমাদের আজকের সম্রাট আকবরের সিংহাসন লাভের বর্ণনা দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।