পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর |
পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর
- অথবা, পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের বিবরণ দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সম্রাট বাবর ও ইব্রাহীম লোদীর মধ্যে সংঘটিত হওয়ার পর সম্রাট আকবর ও আদিল শাহের মধ্যে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
এ যুদ্ধে জয়লাভ করে আকবর মুঘল সাম্রাজ্যকে পুনরুদ্ধার করেন। এ যুদ্ধের মাধ্যমে সম্রাট আকবরের ক্ষমতা আরো দৃঢ় হয় এবং ভারতবর্ষে অন্ধকারাচ্ছন্ন শাসন ব্যবস্থাকে নতুন আলোয় আলোকিত করে ।
→ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের বিবরণ : নিম্নে যুদ্ধের বিবরণ দেওয়া হলো-
১. সময়কাল : আদিল শাহ শূরের মন্ত্রী হিমুর বাহিনীর সাথে সম্রাট আকবরের পানিপথের প্রান্তরে ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এজন্য এ যুদ্ধকে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ বলা হয়
২. যুদ্ধের প্রেক্ষাপট : আকবর যখন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন ভারতবর্ষে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি জটিল পরিস্থিতি “বিরাজ করছিল। সে সময়ে ভারতের সর্বত্র অরাজকতা বিরাজ করেছিল।
তখন হিমু দিল্লি ও আগ্রা দখল করলে আকবরের জন্য এটা. বিপদ সংকেত ভেবে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন।
৩. সৈন্য সংখ্যা : পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুর লক্ষাধিক সেনাবাহিনী ও পনের শতাধিক হস্তীবাহিনী ক্রমেই এগিয়ে আসতে থাকে । পক্ষান্তরে আকবরের সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ হাজার।
৪. যুদ্ধের ঘটনা : হিমুর বাহিনী প্রথম পর্যায়ে তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ করে মুঘল সৈন্যদের হতভম্ব করে দেয়। কিন্তু একপর্যায়ে হঠাৎ করে হিমুর ডান চোখে তীরবিদ্ধ হওয়ায় তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।
যার ফলে তার বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে মুঘল বাহিনী প্রবল আক্রমণ চালায়। এতে হিমু ধৃত ও নিহত হয় এবং সম্রাট আকবর জয়ী হয়।
৫. ফলাফল : এ যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের পথ বিস্তৃত হয়। ৩০ বছর পূর্বে বাবর পানিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ করে এ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং আকবর পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে. মুঘল সিংহাসনকে রক্ষা করলেন।
ভারতে প্রাধান্য বিস্তারে মুঘল ও আফগান দ্বন্দ্বের অবসান হয় এ যুদ্ধের মাধ্যমে । এ যুদ্ধে জয়লাভ করে মুঘলগণ প্রচুর ধনরত্ন লুণ্ঠন করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাপক। এ যুদ্ধ মুঘল সাম্রাজ্য বিস্তৃতির পথ উন্মুক্ত করে দেয় এবং মুঘল সাম্রাজ্য আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলেন । সম্রাট আকবর তার সিংহাসনকে আরো শক্তিশালী করেন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।