নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল |
নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল
- অথবা, নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া লিখ ।
- অথবা, নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ- দৌলাকে অনেক ঐতিহাসিক অদূরদর্শী বললেও তিনি অনেক সিদ্ধান্ত ঠিক সময়েই গ্রহণ করেছিলেন। যেমন- নিজ সেনাপতির বিচার।
নবাব যখন প্রাথমিক অবস্থায় বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন তখন তিনি তার সেনাপতির আচরণ বুঝতে পারেন। তাই তিনি মোটামুটিভাবে গুছিয়ে নিয়ে নিজ সেনাপতির বিচার করেন।
নিম্নে নবাব কর্তৃক নিজ সেনাপতির বিচার ও তার প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো :
→ কুচক্রী সেনাপতির বিচার : সব ধরনের গোলমাল মোটামুটি শান্ত হওয়ার পর সিরাজ-উদ-দৌলা সেনাপতিদের অপকর্মের বিচার শুরু করেন। মানিক চন্দ্রকে কারাবন্দি করা হয়।
এটা দেখে রাজবল্লভ, জগৎশেঠ ও মীর জাফর সবাই ভীত হয়ে যায়। স্বার্থ রক্ষার জন্য জগৎশেঠের মন্ত্রণাভবনে মিলিত হয়ে তারা ইংরেজদের সাহায্যে নবাবকে সিংহাসনচ্যুত করে মীর জাফরকে সিংহাসনে বসাবার চক্রান্তা শুরু করে।
ইয়ার লতিফ গোপনে ওয়াটসনের সঙ্গে মিলিত হয়ে কুমন্ত্রণা দেয় যে, সিরাজ- উদ-দৌলা খুব শীঘ্রই ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন।
আর এ কারণেই তিনি পলাশিতে শিবির স্থাপন করেছিলেন। ক্লাইভ পরে তার সেনাবাহিনীর অর্ধেক লুকিয়ে রেখে বাকিদের নিয়ে কলকাতার যান।
আর নবাবকে পত্র লিখেন, আমার সেনাদল উঠিয়ে আনলাম আর আপনি কি পলাশিতে ছাউনি গেড়ে বসেছেন? সিরাজ-উদ-দৌলার সরল বিশ্বাসেই মীর জাফরকে পলাশি থেকে ছাউনি উঠিয়ে মুর্শিদাবাদ চলে যাবার আদেশ দেন।
মীর জাফর রাজধানীতে পৌঁছামাত্র ক্রাফটন তার সঙ্গে মিলিত হয়ে গোপন সন্ধির খসড়া লিখে নেন। ১৭ মে কলকাতার ইংরেজ দরবারে এই গোপন সন্ধিপত্রের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়।
মীর জাফরের স্বাক্ষরের জন্য এই গোপন সন্ধিপত্র ১-১০ জুন তার কাছে পাঠানো হয় কিন্তু গুপ্ত বৈঠক গোপন থাকল না। ক্লাইড যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলেন।
এদিকে গোপন সন্ধিপত্রের সংবাদ জানতে পেরে সিরাজ-উদ-দৌলা মীর জাফরকে বন্দি করার ব্যবস্থা নিলেন। ওয়াটসন রাজধানী থেকে পালিয়ে যান।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নবাব সিরাজ-উদ- দৌলা অত্যন্ত সরলমনা ছিলেন। তিনি অল্পতেই যেকোনো কিছু বিশ্বাস করেন ।
যার ফলে তার পতন ত্বরান্বিত হয়। তিনি কুচক্রী সেনাপতিদের বিচার শুরু করলেও তা যথাযথভাবে শেষ করতে পারেননি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল। যদি তোমাদের আজকের নবাব সিরাজ কর্তৃক কুচক্রী সেনাপতির বিচার ও এর প্রতিক্রিয়া কি ছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।