দ্বৈত নাগরিকত্ব কি - দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দ্বৈত নাগরিকত্ব কি - দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দ্বৈত নাগরিকত্ব কি - দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে।
দ্বি-নাগরিকত্ব কি বা দ্বৈতনাগরিকত্ব কাকে বলে |
দ্বৈত নাগরিকত্ব কি - দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে
দ্বি-নাগরিকত্ব কি বা দ্বৈতনাগরিকত্ব কাকে বলে
উত্তর: একজন মানুষের দুটি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব প্রাপ্তিকে দ্বি নাগরিকত্ব বলে। পূর্বে জন্মনীতি অনুযায়ী নাগরিকতা অর্জন করত। এ পদ্ধতিই প্রায় সকল রাষ্ট্রে প্রচলিত ছিল। কিন্তু বর্তমানকালে জন্মস্থান নীতিও অনুসরণ করা হয়।
কোন দেশ জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতি-এ উভয় নীতি অনুসরণ করে আবার কোন দেশ জন্মনীতি বা জন্মহার একটি অনুসরণ করে ফলে দ্বি-নাগরিকত্ব সমস্যার উদ্ভব হয়।
দ্বি-নাগরিকত্বের অর্থ হচ্ছে, জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতি-এ উভয় নীতি অনুযায়ী নাগরিকত্ব লাভ করে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সের কোন দম্পতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন সন্তান জন্ম দিলেন।
সে সন্তান ফ্রান্সের আইনানুযায়ী ফ্রান্সের নাগরিকতা লাভ করবে। কারণ ফ্রান্স জন্মনীতি অনুসরণ করে।
আবার সে শিশু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করবে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মস্থান নীতি অনুসরণ করা হয়। এভাবে দ্বি-নাগরিকত্ব সমস্যার উদ্ভব ঘটে।
দ্বৈতনাগরিকতার বিলোপ ঃ দ্বৈতনাগরিকের সমস্যা দেখা দিলে শিশুটি বয়ঃবৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
সে শিশু বয়স্ক হলে, সে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন একটি দেশের নাগরিকতা লাভ করবে। অর্থাৎ সে শিশু যে রাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভ করতে চাইবে, সে সেই রাষ্ট্রের নাগরিকতাই লাভ করবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দ্বৈত নাগরিকত্ব কি - দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দ্বৈত নাগরিকত্ব কি - দ্বৈত নাগরিকত্ব কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।