বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর |
বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর
- অথবা, আকবরের বিরুদ্ধে বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : প্রত্যেক শাসকদের আলোচক ও সমালোচক থাকবেই। ঠিক তেমনি আকবরেরও সমালোচক ছিল। তবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আকবর একজন প্রতিভাবান শাসক ছিলেন।
সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে তিনি একটি নতুন ধর্মমত চালু করেন। তার এ ধর্মনীতি সমালোচনার মুখে পড়ে এবং অনেক ঐতিহাসিকতাকে ধর্মদ্রোহী আখ্যা দেন ।
→ বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা : আকবর যখন দ্বীন-ই-ইলাহি নামের নতুন ধর্মমত চালু করেন তখন অনেক ঐতিহাসিক অনেকভাবে আকবরকে ব্যাখ্যা করেন।
অনেকে বলেন, আকবর পুরোপুরি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেন যে, তিনি তার আদি ধর্ম ইসলামের পথ পরিত্যাগ করেননি। এরকম দু'জন লেখক হলো বদাওনী ও জেসুইট।
নিম্নে তাদের সমালোচনা তুলে ধরা হলো :
১. সংকীর্ণমনা : বদাওনী মনে করেন যে, আকবর ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে বিধর্মী হয়ে গিয়েছেন। তবে তিনি তা ছিলেন না। তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সংস্কারবাদী ছিলেন। তাই বদাওনীর এ মন্তব্য গ্রহণ করা ঠিক নয়। কারণ তিনি ছিলেন সংকীর্ণচিত্ত ও গোড়া মোল্লা ৷
২. আকবরের আইন সম্পর্কে অনবগত : বদাওনী আকবরের আইন সম্পর্কে পুরোপুরি জানতেন না। কারণ তিনি তার দরবারে অভিজাত ছিলেন না। তাই তিনি অনেকংশে শোনা কথা তুলে ধরেছেন।
৩. হিন্দু বিরোধী : বদাওনী ছিলেন কট্টর হিন্দুবিরোধী শাসক। আকবরের ধর্মসহিষ্ণু নীতিকে তিনি ইসলাম বিরোধী। মনে করেন। কিন্তু আসলে তা ছিল না। তাই আমরা তার মন্তব্য গ্রহণ করতে পারি না।
৪. খ্রিষ্টানপন্থি জেসুইট : জেসুইট ছিলেন গোড়া খ্রিষ্টান। আকবর খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ না করায় তিনি মনে করেন যে, আকবর ধর্মনীতিকে ন্যায়ভাবে বিচার করেননি। তাই তিনি আকরের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আকবরের সমালোচনাকারীরা অনেকাংশে ঠিক হলেও সবক্ষেত্রে তা সঠিক ছিল না।
আকবরের ধর্মনীতি সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে হলে বদাওনী ও জেসুইটের অভিমতের উপর নির্ভর করা চলবে না। কারণ তারা তথ্যগুলোকে যথাযথ মূল্যায়ন করেননি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের বদাওনী ও জেসুইট লেখকদের সমালোচনা আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।