ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ |
ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ
- অথবা, সৈয়দ বংশের উত্থানে খিজির খান এর অবদান আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতের ইতিহাসে সৈয়দ বংশের উত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খিজির খাঁ উত্তরাধিকারী সূত্রে কোনো রাজবংশে জন্মগ্রহণ না করলেও নিজ যোগ্যতা বলে এক নববংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।
খিজির খানের প্রতিষ্ঠিত বংশ সৈয়দ বংশ নামে পরিচিতি লাভ করে। তিনি প্রথমে তৈমুর লং-এর পরে তৎপুত্র শাহরুখের প্রতিনিধিরূপে রাজ্য শাসন করতেন।
এজন্যই খিজির খাঁ কোনো রাজকীয় উপাধি গ্রহণ না করেই রায়াত-ই-অল্লা উপাধি গ্রহণ করেই সন্তুষ্ট ছিলেন। খিজির খা যে বংশের প্রতিষ্ঠা করেন তার বংশ পরম্পরায় দীর্ঘস্থায়ী ছিল। নিম্নে সৈয়দ বংশের উত্থানে খিজির খাঁনের অবদান আলোচনা করা হলো ।
সৈয়দ বংশের উত্থান : দিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত খিজির খা ছিলেন আরব গোষ্ঠীর সন্তান। তিনি নিজেকে রাসূল (সা.)-এর বংশধর বলে দাবি করতেন। এজন্য তার প্রতিষ্ঠিত বংশের নাম | সৈয়দ বংশ। তবে তার সৈয়দ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
খিজির খাঁ : মুহাম্মদ তুঘলকের মৃত্যুর পর আমির ওমরাগণ ও অমাত্য দৌলত খান লোদীকে সিংহাসনে বসান লোদী দুই বছর দিল্লি শাসন করে।
পরবর্তীতে তৈমুর লং-এর প্রতিনিধি হিসেবে সুলতানের শাসক খিজির খাঁনের কাছে ১৪১৪ সালে লোদী পরাজিত হন।
লোদীকে পরাজিত করে খিজির খাঁ দিল্লির | সিংহাসনে আরোহণ করেন। এভাবে সিংহাসনে বসে তিনি দিল্লি সালতানাতের পূর্ব ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে মনোনিবেশ করেন।
→ খিজির খাঁনের কৃতিত্ব/অবদান : খিজির খাঁ একজন উদার, ধার্মিক ও দয়ালু শাসক ছিলেন। পয়গাম্বরের চরিত্রের সকল গুণাবলি নিজের মধ্যে ছিল এজন্য তিনি তাকে সৈয়দ বলতেন।
খিজির খাঁ সুলতান উপাধি গ্রহণ করেননি। তৈমুর লং- এর পুত্র শাহরুখের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি শাসনকার্য পরিচালনা করতেন এবং সময়ে সময়ে তার নিকট উপঢৌকন প্রেরণ করতেন।
সাম্রাজ্যের রাজনীতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে তিনি আজীবন সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন। ঐতিহাসিক ফিরিশতা বলেন, “খিজির খাঁ একজন মহান ও বিজ্ঞ শাসক ছিলেন” । তিনি ছিলেন সর্বদা দয়ালু ও রক্ষাকারী। ১৪২১ সালে তার মৃত্যুর পর জনগণ তিন দিন শোক পালন করে।
শাসক হিসেবে খিজির খাঁ : শৈশবে খিজির খাঁ সুলতানের শাসনকর্তা মালিক নাসির-উল-মুলক মর্দান দৌলত 'কর্তৃত্ব লালিতপালিত হন। পরবর্তীতে সুলতান ফিরোজ শাহ তাকে জায়গীরদার পদে নিযুক্ত করেন।
সুলতান ফিরোজের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অরাজকতার উদ্ভব হলে খিজির খাঁ মল্লু ইকবারের ভ্রাতা সারংখান কর্তৃক বন্দি হন।
১৩৯৮ সালে তৈমুরের ভারত অভিযানকালে তিনি তাকে সাহায্য করেন বিনিময়ে তৈমুর ভারত ত্যাগ করার প্রাক্কালে খিজির খাঁকে · সুলতান এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে যান।
তিনি কামপিল, পাতিওয়ালা, গোয়ালিয়, এটোয়া মেওয়াট প্রভৃতি অঞ্চলে বিদ্রোহী জমিদারদের বিরুদ্ধে কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। ঐতিহাসিকদের মতে খিজির খানের আধিপত্য দিল্লি দোয়াব এবং পাঞ্জাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ।
উপসংহার : উপরোল্লিখিত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে, ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে যুগে সৈয়দ বংশের উত্থান একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
সৈয়দ বংশ টিকে থাকার পিছনে বংশ প্রতিষ্ঠাতা খিজির খাঁ-এর অবদান অনস্বীকার্য । মূলত খিজির খানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও বহুমুখী প্রতিভার কারণেই ভারতীয় উপমহাদেশে সৈয়দ বংশ প্রতিষ্ঠা হয়।
তিনি তার বিচক্ষণতা ও যোগ্যতা দিয়ে সৈয়দ বংশকে উচ্চ পর্যায়ের শাসন নীতির অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু তার পরবর্তী উত্তরাধিকারীদের ব্যর্থতার কারণে এ বংশ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ । যদি তোমাদের আজকের ভারতে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খিজির খাঁ এর কৃতিত্ব লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।