বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও |
বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের ইতিহাসে মুঘল শাসন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মুঘল সম্রাটদের মধ্যে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন অন্যতম শাসক।
তার রাজত্বকালে সিপাহিবিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এ সিপাহিবিদ্রোহের ফলে ভারতবর্ষে মুঘল শাসনের অবসান ঘটে।
বাহাদুর শাহ জাফরের পরিচয় : দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ শাসক ছিলেন। মীরাটের এক দল সিপাহি ১৮৫৭ সালের ৯ মে ইনফিলন্ডের কার্তুজ ব্যবহারে অস্বীকার করলে সামরিক বিচারে তাদেরকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ফলে মীরাট সেনানিবাসের তিনটি রেজিমেন্টের সিপাহিগণ প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং বন্দিদেরকে মুক্ত করে ব্রিটিশ কর্মচারীদের হত্যা করেন।
এরপর সিপাহিগণ দিল্লি অধিকার করে ১১ মে ৮২ বছরের বৃদ্ধ দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে সম্রাট বলে ঘোষণা করেন।
সম্রাটের একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হয় এবং দস্তর-উল-আমল নামে একটি শাসনতন্ত্র প্রস্তুত হয়। সম্রাটের পুত্র মির্জা মুঘলকে প্রধান সেনাপতি এবং বখত খান সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন।
বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ পরিণতি : সম্রাট এ সময় অর্থ সংকটে ছিলেন। ফলে তিনি সৈন্যদের ব্যয়ভার বহন করার জন্য নিজ জওহরাদি বিক্রয় করেন।
সম্রাটের কয়েকজন পরামর্শদাতা ব্রিটিশদের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করে ফলে ১৮৫৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ গোলন্দাজ বাহিনী দুর্গ প্রাচীর ভেঙে নগরে প্রবেশ করে।
এ সময় সম্রাট প্রাসাদ ত্যাগ করে হুমায়ুনের সমাধি সৌধে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সম্রাটকে সেখান থেকে বন্দি করে দুর্গে আনা হয়।
সম্রাটের দুই পুত্র ও এক পৌত্রকে হত্যা করা হয়। ১৮৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে সম্রাটকে রেঙ্গুনে নির্বাসন দেয়া হয় । ১৮৬২ সালে ৮৭ বছর বয়সে রেঙ্গুনে তার মৃত্যু হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৮৫৭ সালের সিপাহিবিদ্রোহে সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত বন্দি হয়ে রেঙ্গুনে নির্বাসিত হন। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর সাথে সাথে মুঘল বংশের গৌরব রবি চিরতরে বিলীন হয়ে যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও । যদি তোমাদের আজকের বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন । বাহাদুর শাহ জাফর এর পরিচয় দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।