আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর |
আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর
- অথবা, আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : ১৫২৬ সালে বাবর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মুঘল সাম্রাজ্য বাবর এবং তার পরবর্তী আরো কয়েকজন সুযোগ্য শাসক দ্বারা প্রচণ্ড প্রতাপের সাথে ভারতবর্ষে শাসনকার্য অব্যাহত রাখে।
কিন্তু ১৭০৭ সালে আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর এ সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা হয়। কেননা সম্রাট আওরঙ্গজেবের পর মুঘল শাসকদের অধিকাংশ উত্তরাধিকারী ছিলেন অযোগ্য, বিলাসপ্রিয়, অকর্মণ্য ও ইন্দ্রিয়পরায়ণ।
ফলে যোগ্য শাসকের অভাবে রাজ্যে বিভিন্ন রকম বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি দেখা দেয় যা এ সাম্রাজ্যের পতনের পথকে সুগম করে দেয়।
→ আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটসের নাম ও শাসনকাল : নিজে আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের নাম এবং তাদের শাসনামলের সময়কাল তালিকা আকারে তুলে ধরা হলো।
সম্রাটের নাম শাসনকাল
প্রথম বাহাদুর শাহ ১৭০৭ - ১৭১২ সাল
জাহাদার শাহ ১৭১২- ১৭১২ সাল
ফররুখশিয়ার ১৭১৭-১৭১৯ সাল
রফি-উদ-দারজাত -----------
রফি-উদ-দৌলা -----------
মুহম্মদ শাহ ১৭১৯ - ৪৮ সাল
আহমদ শাহ ১৭৪৮ - ৫৪ সাল
দ্বিতীয় আলমগীর ১৭৫৪ - ৫৯ সাল
দ্বিতীয় শাহ আলম ১৭৫৯ - ১৮০৬ সাল
দ্বিতীয় আকবর ১৮০৬ - ৩৭ সাল
দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ১৮৩৭ - ৫৭ সাল
আওরঙ্গজেব পরবর্তী শাসকদের দুর্বলতা : ঐতিহাসিকগণ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে আওরঙ্গজেবের গৃহীত কিছু নীতি এবং তার পরবর্তী দুর্বল শাসকদেরকে দায়ী করেন।
বিশেষ করে আওরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা আর তার দরুন হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর আরোপ, তীর্থযাত্রায় বাধা প্রদান, মেলা অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান, মন্দির নির্মাণে বাধা প্রদান, মন্দির ধ্বংস, রাজকার্যে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ প্রভৃতি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সূত্রপাত হয়।
তাছাড়া তার পরবর্তী শাসকদের সিংহাসন আরোহণকে কেন্দ্র করে সংঘটিত অন্তর্ধন্য মুঘল সাম্রাজ্যের ভিতকে দুর্বল করে তুলেছিল।
আর এ সুযোগে বিদেশি আক্রমণ এবং সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন বিদ্রোহ এ সাম্রাজ্যকে বিপর্যন্ত করে তুলেছিল। এ সময় শিয়া বিদ্রোহ, শিখ বিদ্রোহ চরমে উঠতে থাকে।
তাছাড়া আওরঙ্গজেব তার সময়কালে ২৫ বছর ধরে মারাঠাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। যে কারণে রাজকোষে তার সময় থেকেই শূন্যতা পরিলক্ষিত হতে থাকে। আর সেটা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব ছিল না তার পরবর্তী দুর্বলপরায়ণ শাসকদের পক্ষে।
উল্লেখ্য যে, এ সকল দুর্বল শাসকদের সময়কালে ইংরেজ কোম্পানির দৌরাত্ম্য ভারতবর্ষে বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে তারা মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে শাসনভার নিজেদের হস্তগত করে।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, আওরঙ্গজেব তাঁর সুদীর্ঘ শাসনামলে পূর্ববর্তী শাসকদের ন্যায় তিনিও তার শাসনামল যোগ্যতা ও প্রতাপের সাথে পরিচালনা করেন কিন্তু তিনি কিছু নির্বুদ্ধিতার পরিচয়সূচক কর্মকাণ্ড সাধন করেন যার মাশুল গুণতে হয় এ সাম্রাজ্যের পতনের মাধ্যমে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের আওরঙ্গজেব পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের দুর্বলতাগুলো আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।