আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও |
আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : মুঘল বংশের যে কয়জন শাসক ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তাদের মধ্যে মহামতি আকবর অন্যতম। ভারতের ইতিহাসে আকবর ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক।
এ মহান শাসক জনগণের অন্তরের স্মৃতিতে আজও অমর হয়ে আছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ মুঘল শাসক হিসেবে মুঘল ইতিহাসে স্থান দখল করে আছেন।
→ সম্রাট আকবরের পরিচয় : নিম্নে সম্রাট আকবরের পরিচয় বর্ণনা করা হলো-
১. জন্ম : অতুল চন্দ্র রায় এবং প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে আকবর ১৫৪২ সালের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম হলো জালালউদ্দিন আকবর। তিনি সিন্ধু প্রদেশের অমরকোট নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
২. পিতামাতা : মহামতি আকবরের পিতা হচ্ছেন মুঘল সম্রাট হুমায়ূন। আর মাতার নাম হচ্ছে হামিদা বানু। শেরশাহ কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে হুমায়ূন যখন পারস্যাভিমুখে অগ্রসর হচ্ছিলেন ঠিক সে সময়ে অমরকোট নামক স্থানে হামিদীবানুর গর্ভে আকবর জন্মগ্রহণ করেন।
৩. সিংহাসন লাভ : জন্মের পর থেকেই আকবরের ভাগ্য বিড়ম্বনার মধ্যে কাটতে থাকে। বাল্যকালে কিছু সময় তিনি চাচার কাছে লালিত পালিত হন। তিনি ছোটবেলা থেকেই অস্ত্রশিক্ষা, শিকার, খেলা, অশ্বারোহণে পটুত্ব ছিলেন।
১৫৫১ সালে তিনি গজনির শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। ১৫৫৬ সালে হুমায়ূনের মৃত্যু হলে পাঞ্জাবে আকবরের শিবিরে খবর এলে বৈরাম খান আকবরের অভিষেক ঘোষণা করেন।
৪. বৈরাম খানের তত্ত্বাবধানে : আকবর যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন হুমায়ূন পলাতক অবস্থায় ছিলেন। সেজন্য তিনি তার বন্ধু বৈরাম খানের নিকট আকবরের লালনপালনের দায়িত্ব দিয়ে যান। বৈরাম খান তাকে অশ্ব চালনা, মল্লযুদ্ধ, শিকার, তীরচালনা বিদ্যায় পারদর্শী করে তোলেন।
৫. সাম্রাজ্য বিস্তার : শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে আকবর সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। তাকে শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী শাসক বলা হয়।
তিনি সর্বদা যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত থাকতেন। ১৫৬১ সাল থেকে ১৬০১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে সাম্রাজ্য বিস্তার করেন ।
৬. মৃত্যু : সম্রাট আকবর প্রায় ৪৯ বছর সফলভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করে ১৬০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি শাসক অবস্থায় বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যাবলি সম্পাদন করেছিলেন। শিক্ষা সাহিত্যের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মহামতি আকবর।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাল্যকালে সিংহাসনে আরোহণ করে সম্রাট আকবর বিভিন্ন প্রতিঘাত মোকাবিলা করে একটি বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তার বিভিন্ন মহৎ কাজের জন্য তাকে মহামতি আকবর বলা হয়। ভারতের ইতিহাসে তার স্থান অদ্বিতীয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও। যদি তোমাদের আজকের আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।