আইন কি | আইনের উৎস কয়টি
আইন কি | আইনের উৎস কয়টি |
আইন কি | আইনের উৎস কয়টি
প্রশ্ন : আইন কি | আইনের উৎস কয়টি
উত্তরঃ রাষ্ট্র নির্ধারিত নিয়মকানুনগুলোকে আইন বলা হয়। নানাপ্রকার সূত্র হতে আইনের সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যাপক(Holland) আইনের ছয়টি উৎসের কথা সর্বজনীন।
নিম্নে বর্ণনা
১। আচার-ব্যবহার : আচার-ব্যবহার বা ধন্য আইনের উৎপত্তিরসামাজিক রীতিনী দ্বারাই পরস্পরের বিবাन-বিরোধের সীমাংসা করা হতো। প্রধান জীবন ও ধন সম্পরীতিনীতি গড়ে উঠে। ক্রমে সেগুলো সুস্পষ্ট নিয়মাবলিতে পরিণত হয় এবং রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সমর্থিত হয়ে আইনের মর্যাদা পা করেছে। আমাদের দেশের বহু আইনই আচার-ব্যবহারগত আইন
২। ধৰ্ম : ধর্ম আইনের আর একটি প্রধান উৎস। প্রাচীন রীতিনীতি ধর্মের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল। প্র প্রধামূলক আইনের উৎস ছিল ধর্ম।
রাজা একাধারে শাসনকর্তা ও ধর্মনায়ক হিসাবে সেসব আইনকে প্রয়োগ করতেন। মুসলিম আইন, হিন্দু আইনগুলো প্রথামূলক আইনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ধর্মের আচারবিধি রাষ্ট্রের সমর্থন লাভ করে আইনে পরিণ
৩। বিচারের রায় : কালক্রমে সমাজ জীবনে জটিলতা ও অপতির সঙ্গে সঙ্গে আইনের রূপ ও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। সমাজে আচার-আচরণ, স্বার্থ ও ধর্মের দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রবল হতে আরম্ভ করে।
দলপতিরা প্রতি আচরণের সাহায্যেই এসব বন্ধ, বিরোধ মীমাংসা করতেন। দলপতিদের এসব রায় পরবর্তীকালে আইন হিসেবে গৃহীত হতো। বর্তমানেও বিচারের রায় হতে অনেক আইন সৃষ্টি হয়।
৪। বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা : প্রচলিত বিধি ব্যবস্থার আলোচনা করে পণ্ডিতগণ যেসব মতামত প্রকাশ করেন, তা হতেও অনেক নতুন আইনের উৎপত্তি হয়েছে ও হচ্ছে। প্রচলিত আইনসমূহের তারা যেসব টাকা-রচনা করেন, তাও অনেক ক্ষেত্রে আইনরূপে গৃহীত হয়। হিন্দুদের মধ্যে মনু, কৌটিল্য, পরাশর প্রভৃতি পণ্ডিতগণের ভাষ্য আইন হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
৫। ন্যায়বোধ : মানুষের স্বাভাবিক ন্যায়বোধ আইনের আর একটি উৎস। যখন প্রচলিত বিধি বিধানে কোনও বিরোধের মীমাংসা করা যায় না, তখন সাধারণ বিচারবুদ্ধি এবং ন্যায়বোধের উপর নির্ভর করে এর মীমাংসা করতে হয়।
৬। আইনসভা কর্তৃক রচিত আইন : বর্তমানকালে রাষ্ট্রের আইনসভাসমূহ জনসাধারণের এবং সরকারের কার্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নানা বিধিবিধান রচনা করে। এগুলো প্রকৃতপক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত জনমত।
প্রপেনহিন জনমতকেই আইনের একমাত্র উৎস বলে বর্ণনা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, আইনসভা কর্তৃক রচিত আইনই বর্তমানে আইনের প্রধান উৎস।
৭। জনমত : প্রকৃতপক্ষে আইনসভা কর্তৃক প্রণীত সকল প্রকার আইন জনমতেরই প্রতিফলন।
৮। বৈদেশিক চুক্তি (Foreign contact) : পৃথিবীর সকল দেশেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে থাকে। সাধারণত রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর করে থাকে। এটিও আইন বলে পরিগণিত হয়।
৯। সংবিধান : সংবিধান আইনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। স্বাধীনতার জন্য মানুষ যে কোন ভাল স্বীকার করতে প্রস্তুত। ঐশ্বর্যের পরাধীনতার চেয়ে দারিদ্র্যের মধ্যে স্বাধীনতা মানুষের কাছে প্রিয়।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, উপরিউক্ত এসব সূত্র হতে আইনের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।