উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ
উদারনৈতিক গণতন্ত্র কাকে বলে - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ |
উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ
উত্তর : ভূমিকা : যে শাসনব্যবস্থায় জনগণই হলো সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী তাকে গণতন্ত্র বলে। বিগত ৪ শতাব্দী ধরে উদারনীতিবাদ পশ্চিমা বিশ্বের একটি বিশিষ্ট মতবাদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
মূলত যে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত তাকেই উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলে। ১৬৮৮ সালে গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমে উদারনীতিবাদ অধিকতর সুসংহত হয়েছে।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক জন স্টুয়ার্ট মিল ছিলেন উদারনৈতিক গণতন্ত্রের অন্যতম প্রবক্তা। তিনি তার “অন লিবার্টি” নামক গ্রন্থে উদারনৈতিক গণতন্ত্রের কয়েকটি নীতি আলোচনা করেন।
এই নীতিগুলো হলো-
১. উদারনৈতিক গণতন্ত্র নাগরিকের চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
২.উদারনৈতিক গণতন্ত্র নাগরিকের রাজনৈতিক স্বাধীনতাও প্রদান করবে।
৩. কেবলমাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রই উদারনৈতিক গণতন্ত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।
৪. উদারনৈতিক গণতন্ত্র সর্বাধিক লোকের সর্বোচ্চ সুখ নিশ্চিত করবে।
৫. সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা এই স্লোগানই হবে উদারনৈতিক গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৭৭৬ সালে আমেরিকায় স্বাধীনতা সংক্রান্ত ঘোষণায় এবং ১৭৮৯ সালে ফরাসি মানবাধিকার সংক্রান্ত গোষণার মধ্যে উদারনীতিবাদের আদর্শগুলো বিশেষভাবে স্থান লাভ করে। যে কারণে বর্তমান বিশ্বে উদারনৈতিক গণতন্ত্র হচ্ছে সবচাইতে কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ | উদারনৈতিক গণতন্ত্র কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ। যদি তোমাদের আজকের উদারনৈতিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।