তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন |
তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন
- অথবা, ‘তাবাকাত-ই-নাসিরী' সম্পর্কে কি জান?
- অথবা, ‘তাবাকাত-ই-নাসিরী' সম্পর্কে যা জান লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : ‘তাবাকাত-ই-নাসিরী’ ভারতের মুসলিম ইতিহাস জানার একটি অন্যতম গ্রন্থ। এই গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মিনহাজ-উস-সিরাজ । এই গ্রন্থে তিনি সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদের রাজত্বকালের ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
মিনহাজ-উস- সিরাজ ‘তাবাকাত' শব্দটি প্রয়োগ করে বিশেষ সময়সীমার মধ্যে রাজবংশ কিংবা একই প্রকৃতি ও শ্রেণিবিভাজিত নরগোষ্ঠী অথবাঅভিন্ন পরিচয়ধারী মানুষের ইতিহাস আলোচনাকে বোঝাতে চেয়েছেন। তার এই গ্রন্থটিকে ভারতের মুসলিম শাসনের প্রাথমিক ইতিহাস জানার একটি মূল গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাবাকাত-ই-নাসিরী : 'তাবাকাত-ই-নাসিরী' মিনহাজ- উস-সিরাজের একটি অমর গ্রন্থ। বহিঃভারতীয় ইতিহাস বাদ দিলে ভারত উপমহাদেশে স্থায়ীভাবে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ের ইতিহাস জানার জন্য এটি একটি আকর গ্রন্থ। প্রকৃত অর্থে বিশ্ব ইতিহাসের না হলেও এটি বিশ্ব ইতিহাসের ধারায় লিখিত। এটি তেইশটি তাবাকাতে বিভক্ত।
“তাবাকাত' একটি আরবি শব্দ। তাবাকাত-এর আভিধানিক অর্থ হলো স্তরসমূহ। কিন্তু পারিভাষিক অর্থে এটি কোনো শ্রেণি, বিধিমালা, বংশক্রম ও প্রজনন বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে | থাকে। আবার তা স্থান ও কালের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে।
মিনহাজ-উস-সিরাজ 'তাবাকাত' শব্দটি প্রয়োগ করে বিশেষ সময়সীমার মধ্যে রাজবংশ কিংবা একই প্রকৃতি ও শ্রেণিবিভাজন | নরগোষ্ঠী অথবা অভিন্ন পরিচয়ধারী মানুষের ইতিহাস আলোচনাকে | বোঝাতে চেয়েছেন বলে ধারণা করা হয় ।
বিষয়বস্তু : মিনহাজ-উস-সিরাজের 'ভাবাকাত-ই-নাসিরী' গ্রন্থে ২৩টি তাবাকাত রয়েছে। এই ২৩টি তাবাকাত পর্যালোচনা করলে যে ৬টি মুখ্য বিষয় বেরিয়ে আসে তা হলো :
১. প্রাচীন নৃপতি ও নবি-রাসুল।
২. মহানবি (সা.), খোলাফায়ে রাশেদীন, উমাইয়া ও আব্বাসীয় বংশের শাসকগণ ।
৩. অনারব রাজবংশ, পেশাদাদান, কায়ানিয়া, আসকানিয়া, সামানিয়া, আকাসিরা।
৪. অপ্রধান রাজবংশ এবং অন্যান্য মুসলিম রাজবংশ।
৫. দিল্লির সুলতানগণ ও তাদের অমাত্য।
৬. মোঙ্গল আধিপত্য।
সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে তাবাকাত-ই-নাসিরীর তিনটি অংশ ও বিভাজন বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। যথা-
১. বিগত নবি-রাসুল ও ইসলামের প্রাথমিক ইতিহাস সংক্রান্ত বিষয়াবলি।
২. দিল্লির শাসক ও অমাত্যগণের বিবরণসংক্রান্ত ঘটনাবলি।
৩. মোঙ্গল জাতির ইতিহাস
এশিয়ার মধ্যে ইতিহাসের দিক হতে বিচার করলে তার ঐসব তাবাকাত বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যেগুলোতে মোঙ্গল জাতির ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। কাজেই এই গ্রন্থটি ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাস জানার জন্য একটি অন্যতম গ্রন্থ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, ভারতের মুসলিম ইতিহাস জানার একটি অন্যতম গ্রন্থ হলো 'তাবাকাত-ই- নাসিরী। এই গ্রন্থে ২৩টি তাবাকাত-এর মাধ্যমে মুসলিম ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
এই গ্রন্থে হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়াবলি ও অবিশ্বাসীদের অনুপ্রবেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্তভাবে বিশ্ব ইতিহাসের ঘটনাবলি উপস্থাপিত করে মিনহাজ-উস-সিরাজ তাঁর তাবাকাত-ই-নাসিরীকে একটি বংশানুক্রমিক ইতিহাস হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন। যদি তোমাদের আজকের তবকাত ই নাসিরী বিখ্যাত কেন পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।