সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো |
সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো
- অথবা, শৃঙ্খলা আনয়নে সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব উল্লেখ কর।
- অথবা, শৃঙ্খলা আনয়নে সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব সম্পর্কে কি জান?
উত্তর : ভূমিকা : নির্ভীকতা, ধৈর্য ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে সুলতানা রাজিয়া সিংহাসন রক্ষায় অগ্রসর হন। স্বীয় বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সুলতানা রাজিয়া শীঘ্রই নিজেকে যোগ্য বলে প্রতিপন্ন করলে দেশে শৃঙ্খলা ফিরে আসে এবং বিদ্রোহীরা শান্ত হয় ।
মিনহাজ-উল-সিরাজ বলেন, লক্ষণাবতী হতে দেবল এবং দামরিলা পর্যন্ত সকল দেশের মালিক ও আমিরগণ তার আনুগত্য ও প্রভূত্ব মেনে নেয় ।
→ সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব : ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নারী শাসক হিসেবে সুলতানা রাজিয়া ছিলেন অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ গুনাবলির অধিকারী। সুলতানা রাজিয়া যখন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন পূর্ববর্তী শাসনামলের অযোগ্যতার দরুন সাম্রাজ্যের সর্বত্র চরম অরাজকতা বিরাজ করছিল।
শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী জুনাইদি রাজিয়ার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিদ্রোহ সংগঠিত করেন। কিছু সংখ্যাক উচ্চ রাজকর্মচারী ও নিজেদের স্বার্থোদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে রাজিয়ার প্রতি ক্ষুব্ধ হন।
উলামা সম্প্রদায় তার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না। ধর্মীয় অজুহাত সৃষ্টি করে তারাও সুলতানার প্রতি অসন্তোষ জ্ঞাপন করেন।
চতুর্দিকে বিপদ পরিবেষ্টিত হওয়া সত্ত্বেও সুলতানা রাজিয়া নিরুৎসাহিত হননি। তিনি নারী হলেও তার চরিত্রে নারীসুলভ দুর্বলতা ছিল না।
নির্ভীকতা, ধৈর্য ও মনোবল নিয়ে সুলতানা রাজিয়া সিংহাসন রক্ষায় অগ্রসর হন। স্বীয় বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সুলতানা রাজিয়া নিজেকে যোগ্য বলে প্রতিপন্ন করেন। দেশে শৃঙ্খলা ফিরে আসে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একজন নারী হিসেবে সুলতানা রাজিয়া মধ্যযুগের সংকীর্ণ ধর্মীয় বেড়াজাল ছিন্ন করে দিল্লি সালতানাতে অধিষ্ঠিত হয়ে যে অকৃত্রিম কৃতিত্বের পরিচয় দেন তা ইতিহাসে সত্যিই বিরল।
তবে সময়কাল ছিল অত্যন্ত সল্পস্থায়ী । ফলে শাসনব্যবস্থায় তিনি তেমন কোনো কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারেননি। যদি তা দীর্ঘস্থায়ী হতো তাহলে দিল্লির ইতিহাস অন্যভাবে লিখতে হতো।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো । যদি তোমাদের আজকের সুলতানা রাজিয়ার কৃতিত্ব আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।