সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ |
সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ
- অথবা, তুর্কিরা কেন সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেছিল লিখ ।
- অথবা, সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : দিল্লি সালতানাতের যোগ্য সুলতান ইলতুৎমিশ তার জীবদ্দশায় কন্যা রাজিয়াকেই তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেন। ইলতুৎমিশের পুত্রগণ অযোগ্য বলেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন ।
কিন্তু তুর্কি আমিররা বংশানুক্রমিক অধিকার অপেক্ষা তাদের মনোনীত প্রার্থীদের সিংহাসনে স্থাপন করা তুর্কি প্রথা ও সংবিধানসম্মত বলে মনে করত ।
→ সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি বিদ্রোহের কারণ : রাজিয়ার শাসন ও সংগঠন নীতির বিরুদ্ধে তুর্কি আমিরদের বিরক্তির শেষ ছিল না। তাই তারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এর পিছনে কিছু কারণও ছিল।
নিম্নে সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি বিদ্রোহের কারণ উল্লেখ করা হলো :
প্রথমত, তিনি সব ক্ষমতা নিজ হাতে কেন্দ্রীভূত করেন এবং তুর্কি আমিরদের নিতান্তই কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করেন। তুর্কি আমিররা নিজেদের সরকারের অংশ বলে মনে করত এবং সুলতানকে নিজেদের ইচ্ছায় পরিচালিত করতে চাইতো। এজন্য তারা হতাশ হয়।
দ্বিতীয়ত, রাজিয়া তার সংগঠনের ক্ষেত্রে উচ্চপদে তুর্কিদের একচেটিয়া অধিকার নসাৎ করার চেষ্টা করেন। তিনি হাবসি জামালউদ্দিনকে উচ্চপদে আসীনসহ ও বহু ক্ষমতা দেন।
যদিও ঐতিহাসিক মিনহাজ বলেছেন, ইয়াকুবের সাথে রাজিয়ার প্রণয় ছিল। ইবনে বতুতাও এ কথাই বলেছেন। এজন্য তুর্কি আমিরদের ঈর্ষা দেখা দেয়।
কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিক মিনহাজের এই অভিমত অগ্রাহ্য করেন। আসলে অতুর্কি ইয়াকুবের উন্নতিই তুর্কি আমিরদের ঈর্ষার কারণ হয় ।
তৃতীয়ত, রাজিয়া তার দরবারে পুরুষদের পোশাক-পরিচ্ছদ পরে কাবা অর্থাৎ চাদর ও কুলাহ বা মাথায় তাজ পরে কাজ করতেন। তিনি হাতির পিঠে চড়ে যাতায়াত করতেন ও পর্দা মানতেন না । এজন্য উলামাগণ অসন্তুষ্ট ছিলেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুলতানা রাজিয়া নারী হলেও তার মধ্যে রাজকীয় ও মানবোচিত সব গুণাবলি বিদ্যমান ছিল।
তিনি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করে বিদ্রোহীদের দমন এবং সুষ্ঠুভাবে রাজকার্য পরিচালনা করে তার অযোগ্যতাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলেন ।
কিন্তু তুর্কি আমিরগণ গোঁড়াপন্থি হওয়ায় এবং তাদের ক্ষমতার স্থায়িত্বের পথে সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করে তাকে ব্যর্থ করে দেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ । যদি তোমাদের আজকের সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে তুর্কি অভিজাতদের বিদ্রোহের কারণ কী লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।