সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর |
সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পবিত্রতম দলিল। সংবিধানের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের রূপরেখা পরিলক্ষিত হয়।
সংবিধানের মধ্যে সরকারের গঠন, সরকারের বিভিন্ন অঙ্গসমূহ ও মৌলিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক তৈরির নিয়মনীতি লিপিবদ্ধ থাকে।
আধুনিক রাষ্ট্র সংবিধান ব্যতীত কল্পনা করা যায় না । প্রত্যেক রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান অপরিহার্য।
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রনামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি : বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
১. গণপরিষদ গঠন : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্ব | সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তাই বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১৯৭২ সালে ১০ এপ্রিল ৪৩০ জন সদস্য নিয়ে প্রথম গণপরিষদ গঠন করে এবং সেদিনই তাদের অধিবেশন বসে।
এ অধিবেশনে | দ্বিতীয় দিনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অনেক আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে একটি খসড়া প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয় এবং সে কমিটিকে সংবিধান প্রণয়নের যাচাই-বাছাই করে তা গণপরিষদের কাছে জমা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
২. চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন : ড. কামালের নেতৃত্বে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সংবিধানের নিয়মনীতি যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে অক্টোবর মাসে চূড়ান্তভাবে পেশ করেন এবং সেই চূড়ান্ত খসড়া আরো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় নেওয়া হয়।
৩. গণপরিষদে স্বাক্ষর : ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি চূড়ান্ত খসড়াকে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আরো যাচাই-বাছাই করে তা স্বাক্ষরের জন্য. গণপরিষদকে আহ্বান করে।
১৫ ডিসেম্বর সংবিধানের পাণ্ডুলিপিতে গণপরিষদের সদসদের সকল সদস্য স্বাক্ষর করার মাধ্যমে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।
৪. কার্যকর : গণপরিষদ চূড়ান্ত খসড়ায় সবাই স্বাক্ষর করা শেষ হলে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর সংবিধানের প্রয়োজনীয়তার জন্য খসড়া সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সকল প্রয়োজন পূরণের ক্ষেত্র তৈরি হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে।
সেই সংবিধানের বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে উদাহরণ হয়ে আছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।