সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর
সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ ব্যাখ্যা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর |
সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের দিকে তাকালে দেখা যায়, বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সংবিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে সংবিধান রাষ্ট্রের জন্য উপযোগী করে তুলে।
যে দেশের সংবিধান যতবেশি উন্নত সে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা | ততবেশি উন্নত। কেননা সংবিধান মানুষের কল্যাণের জন্য এটি বেছে নিয়েছে ।
সংবিধান বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে রচনা করে রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয়। সংবিধান প্রতিষ্ঠার জন্য কতকগুলো দিক খেয়াল করতে কতকগুলো নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।.
→ সংবিধান প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন পদ্ধতি : অধ্যাপক গেটেলের মতে, আধুনিক বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোতে চারটি উপায়ে সংবিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিম্নে এগুলো আলোচনা করা হলো :
১. অনুমোদন পদ্ধতি : গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশ লাভ করার পূর্বে পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই স্বৈরতন্ত্র শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। তখন শাসক ছিলেন স্বৈরাচারী, স্বেচ্ছাচারী এবং সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিল।
কিন্তু সময়ের বিবর্তনে গণতান্ত্রিক ভাবধারার বিকাশ শুরু হলে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি জনগণের অদম্য স্পৃহা জাগ্রত হয়।
তখন জনগণের চাপে রাজা বা শাসক কোনো দলিল স্বাক্ষরের মাধ্যমে কতকগুলো নির্দিষ্ট আইনানুগ রীতিনীতি ও পদ্ধতি অনুসারে শাসন ক্ষমতা প্রয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
রাজার অনুমোদিত এরূপ দলিলই সংবিধান নামে পরিচিতি লাভ করে। রাজা তাঁর সংবিধান ইচ্ছামতো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারতেন আবার কোনো ক্ষেত্রে জনগণের মতামত ছাড়া তা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারতেন না।
যেমন- ১২১৫ সালে ঐতিহাসিক ম্যাগনাকার্টা এভাবেই অনুমোদন বা রাজ আদেশের মাধ্যমে সংবিধান গঠিত করেন।
২. ইচ্ছাকৃত রচনা বা গণপরিষদ পদ্ধতি : কোনো কোনো দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ গঠন বা বিশেষ কোনো সম্মেলন আহ্বান করা হয়ে থাকে।
সেই সম্মেলন বা গণপরিষদের সদস্যগণ সংবিধানের খসড়া সংবিধান তৈরি করেন। সেই খসড়া সংবিধান সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হলে তা চূড়ান্তভাবে সংবিধানরূপে গৃহীত হয়।
আবার অনেক সময় গণপরিষদের কর্তৃক গৃহীত সংবিধান অনুমোদনের জন্য জনগণের নিকট প্রেরণ করা হয়। যেমন- বাংলাদেশের সংবিধান।
১৯৭২ সালে গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে পরবর্তীতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে গৃহীত হয়।
৩. ক্রমবিবর্তন পদ্ধতি : সংবিধান কোনো নির্দিষ্ট দিনে বা স্থানে প্রণীত হবে এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। ক্রমবিবর্তন রা ঐতিহাসিক বিবর্তনের মাধ্যমে একটি দেশের সংবিধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
বিবর্তনের ফলে মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক ধ্যানধারণার প্রসারের ফলে ক্ষমতা জনগণের হাতে চলে আসতে পারে। অবশেষে জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের ক্ষমতাই শেষ পর্যন্ত বৈধ বলে স্বীকৃতি প্রদান।
এভাবে প্রচলিত নিয়মনীতি এক সময় সংবিধান হিসেবে গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে কোনো শাসক ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান প্রণয়ন করে না।
সাধারণত এ পদ্ধতিতে সংবিধান অলিখিত হয়ে থাকে। ক্রমবিবর্তনের মধ্যে সংবিধান সৃষ্ট সংবিধান ব্রিটিশ সংবিধান ।
৪. বিপ্লব পদ্ধতি : অনেক সময় বিপ্লবের মধ্যে সংবিধান প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। যখন একটি রাষ্ট্রে সরকার ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, সরকারের অত্যচারের মাত্রা জনগণের জন্য চরম পর্যায়ে অতীষ্ঠ হয়ে যায়, তখনই বিপ্লব সংঘটিত হয়।
নির্যাতিত জনগণ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে অত্যাচারী সরকারকে উৎখাত করে নতুনভাবে সংবিধান প্রণয়ন করে থাকে। ১৯৭১ সালে রাশিয়ার সংবিধান ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিশ্বের প্রতিটি দেশই উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করে সংবিধান প্রণয়ন করে থাকেন। তবে একথা যথার্থ স্বীকার্য যে গণপরিষদ কর্তৃক প্রণীত সংবিধান শ্রেষ্ঠ সংবিধান।
এ ব্যাপারে কে.সি. হুইয়ারের কথা স্মরণযোগ্য “জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত গণপরিষদ সংবিধান তৈরি করবে এটিই স্বাভাবিক নিয়ম।”
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।
পিডিএফ বা ওয়াড ডকুমেন্ট আকারে দিলে ভালো হয়