সনেট কী | সনেট কাকে বলে | সনেটের বৈশিষ্ট্য কী | সনেট বলতে কি বুঝায়
সনেট কী | সনেট কাকে বলে | সনেটের বৈশিষ্ট্য কী | সনেট বলতে কি বুঝায় |
সনেট কী | সনেট কাকে বলে | সনেটের বৈশিষ্ট্য কী | সনেট বলতে কি বুঝায়
- সনেট কী? 'বঙ্গভাষা' কবিতাটি কি সনেট।
- অথবা, সনেট কাকে বলে?
- অথবা, বঙ্গভাষা কবিতাটি কি সনেট? সংক্ষেপে লেখ।
- অথবা, ‘সনেট' এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় সনেট রচনা শুরু করেন। তিনি এর নাম দিয়েে তাঁর রচিত 'বঙ্গভাষা' একটি উৎকৃষ্ট সনেট। চৌদ্দ অক্ষর বা মাত্রাযুক্ত পংক্তিবিশিষ্ট, চৌদ্দ গতির গীতিকবিতাকে সনেট বলা হয়।
সনেটের বৈশিষ্ট্য: সনেট ক্ষুদ্রায়তনের মনায় কবিতা। নিম্নে এর বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে দেয়া হে
১। সনেট মন্ময় কবিতা। অর্থাৎ এখানে কবির কোনো ব্যক্তিগত ভাবের প্রকাশ থাকে ।
২। এটি ক্ষুদ্রায়তনের। সনেটে থাকে ১৪টি পংক্তি। এর প্রত্যেক পংক্তিতে আবার থাকে নির্দিষ্ট অক্ষর ও বর্ণ। মধুসূদনের : সাধারণত ১৪টি বর্ণ থাকে।
৩। সনেটের প্রথম ৮ চরণকে বলে অষ্টক, আর শেষ ৬ চরণকে বলে ঘটক। অষ্টকে চতুষ্পদিকা নামে দুটি ভাগ থাকে। আর ঘটকে থাকে ত্রিপদিকা নামে দুটি ভাগ ।
৪। অষ্টকে থাকে ভাবের উপস্থাপনা আর ষটকে থাকে উপসংহার।
“বঙ্গভাষা” কবিতাটি সনেট কিনা: 'বঙ্গভাষা' কবিতায় কবির একটি ব্যক্তিগত ভাব-কল্পনার প্রকাশ ঘটেছে। এতে ১৪টি চরণ এবং প্রত্যেক চরণে ১৪টি স্বর্ণ রয়েছে। এর অষ্টকে ভাবের উপস্থাপনা, আর শেষ ৬ চরণ তথা খটকে ভাবের উপসংহার রয়েছে।
এর অন্ত্যমিল হচ্ছে— ক খ ক খ, খ ক খ ক, গ ঘ ঘ গ ঙঙ। আমরা দেখতে পাই যে, আলোচ্য কবিতাটিতে সনেটের বৈশিষ্ট্যসমূহ বিদ্যমান। কাজেই “বঙ্গভাষা' একটি আদর্শ সনেট ।