সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।
সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও |
সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও
- অথবা, সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের কুফলগুলো লেখ।
- অথবা, সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তিগুলো কী কী?
- অথবা, সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তিগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : কোনো রাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচন । আর নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভোটাররা। ভোটাধিকার জনগণের একটি রাজনৈতিক অধিকার।
প্রত্যেক নাগরিকের প্রাপ্তবয়স্ক ভিত্তিতে ভোটার অধিকার থাকা উচিত। কিন্তু সকল নাগরিক এ ভোটাধিকার ভোগ করতে পারে না।
অধিকাংশের মতে, গণতন্ত্রকে সুসংগঠিত করার জন্য প্রত্যেক নাগরিকের ভোটাধিকার থাকা আবশ্যক।" সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তিসমূহ ।
কয়েকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সার্বজনীন ভোটাধিকারের কতিপয় অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন। সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার এর বিপক্ষে Lecky, Henry maine J. S. Mil প্রমুখ মতামত দিয়েছেন।
নিম্নে এর বিপক্ষে যুক্তিসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. ভোটাধিকার জন্মগত নয় : সর্বজনীন ভোটাধিকার বিরোধীরা বলেছেন, ভোটাধিকার জন্মগত নয় এটা রাষ্ট্র প্রদত্ত প্রদান করা হয়। যেমন : একজন পাগল বা দেউলিয়া কখনই ভোটাধিকার প্রাপ্ত হবে না যদিও তারা কোনো একটি রাষ্ট্রে জন্ম গ্রহণ করেছে।
২. সকল মানুষ সমান নয় : সমাজে সকল মানুষ সমান নয়। অথবা নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র, অশিক্ষিত শিক্ষিত সকল শ্রেণির মানুষই ভোটাধিকার পেয়ে থাকে। কিন্তু সমাজে সকল জনগণের বুদ্ধি বিবেচনা, দক্ষতা এক নয় ।
৩. যোগ্যতা উপেক্ষা : প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার এর প্রধান বাধা হলো যোগ্যতা উপেক্ষা। সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের
ক্ষেত্রে শুধু বয়সের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। অথচ অশিক্ষিত জনগণকে ভোটাধিকার দেওয়া অনেকটা বিপজ্জনক ।
৪. সম্পত্তির প্রাধান্য : সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের অন্যতম অসুবিধা হলো এখানে সম্পত্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
J. S. Mill -এর ভাষায় "Those who pay no taxes disposing by their votes of other peoples have every motive to be levish and none to be economic."
৫. নারী উদাসীনতা : সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের নারী-পুরুষ উভয়ই ভোটাধিকার বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যায় নারীরা রাজনীতিতে উদাসীন। তাছাড়া সেনাবাহিনীতে যোগদানে তারা অক্ষম। তাই নারী ভোটাধিকার সীমিত করা উচিত।
৬. উচ্ছৃঙ্খল : প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের সমাজে সকল মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু শাসনকার্য পরিচালনা করার সময় বিরুদ্ধবাদিরা শাসনকার্য উচ্ছৃঙ্খল করে ভুলতে পারে। কেননা তারা রাষ্ট্রের নাগরিক যারা সরকার কর্তৃক ভোটাধিকার প্রাপ্ত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বিভিন্ন মতামত ও বিরুদ্ধবাদ থাকা সত্ত্বেও সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। আর সচেতন নাগরিকই গণতন্ত্রের সফলতার মূল চাবিকাঠি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও। যদি তোমাদের আজকের সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে যুক্তি দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।