মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ |
মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ
- অথবা, মুহামম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
- অথবা, মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে টীকা লেখ ।
উত্তর : ভূমিকা : ১২০২ সালে মুহাম্মদ ঘুরী চান্দেল রাজবংশের পরমাদেবীর দেবের রাজধানী কালিঞ্জর আক্রমণ করে কালিঞ্জর নিজ আয়ত্তাধীনে নিয়ে আসেন।
মুসলিম সৈন্যবাহিনীর সাথে প্রথমদিকে দক্ষতার সাথে যুদ্ধ করলেও শেষ পর্যন্ত চান্দেলরাজ পরাজিত হয়। ফলে কালিঞ্জর দুর্গটি মুসলমানদের অধীনে চলে আসে।
কালিঞ্জর জয় : ১২০২ সালে কুতুবউদ্দিন আইবেক চান্দেল রাজবংশের রাজধানী কালিঞ্জর আক্রমণ করেন। এ সময় কুতুবউদ্দিন আইবেক উত্তর ভারত তার প্রভু মুহাম্মদ ঘুরীর অধীনে আনলেন।
তখন তার এক সেনাধ্যক্ষ অনুচর ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি পূর্ব ভারতে তুর্কি আধিপত্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন।
কুতুবউদ্দিন আইবেক বখতিয়ার খলজিকে বাংলা ও বিহার জয় করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। বখতিয়ার খলজির আক্রমণের ভয়ে লক্ষ্মণ সেন রাজধানী নদীয়া ত্যাগ করে পূর্ব বঙ্গে পলায়ন করেন।
ইতোমধ্যে বখতিয়ারের সৈন্যবাহিনী নদীয়ায় উপস্থিত হয়ে সমগ্র নদীয়া অধিকার করে নেয়। বাংলার রাজধানী লক্ষণাবতী বা গৌড়ে স্থানান্তরিত করা হয়।
উত্তর মারার দুটি রাজপুত বংশ হলো কালিঞ্জর ও মহোবর চান্দেলা চৈদীর কচুরী। দশম শতাব্দীতে বুন্দেলখণ্ডসহ গঙ্গা, যমুনা ও দোয়াবের উত্তরাংশে চান্দেলারা তাদের কর্তৃত্ব স্থাপন করে ।
চান্দেল বংশের শেষ শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন পরমাদিদেব। তিনি দিল্লির চৌহান বংশের পৃথ্বীরাজের নিকট পরাজিত হয়ে রাজ্যের কিছু অংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ফলে তার শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুহাম্মদ ঘুরী ভারতীয় উপমহাদেশে রাজ্য স্থাপন করে মুসলমান শাসনের ভিত আরো মজবুত করে দিয়েছেন।
তার সময়কার ভারতীয় উপমহাদেশ অন্য যেকোনো শাসকের চেয়ে একধাপ এগিয়ে গিয়েছিল এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। যদি তোমাদের আজকের মুহাম্মদ ঘুরীর কালিঞ্জর জয় সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।