মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ |
মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ
- অথবা, মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
- অথবা, মুহাম্মদ-বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে যা যান লিখ ৷
- অথবা, মুহম্মদ-বিন-তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্বন্ধে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : মধ্যযুগীয় ভারতের ইতিহাসে মুহাম্মদ-বিন- তুঘলক ছিলেন এক আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী। তার ন্যায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী আর কোনো সুলতান ভারতের ইতিহাসে আসীন হয়েছেন কিনা তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
১৩৫২ সালে সিংহাসনে আরোহণ করে তিনি পঞ্চ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজধানী স্থানান্তর।
রাজধানী স্থানান্তরের কারণ : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তরের নানাবিধ কারণ রয়েছে। নিম্নে কিছু কারণ আলোচনা করা হলো :
১. সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের রাজধানী দেবগিরি দিল্লি হতে অধিকতর সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবর্তী স্থলে অবস্থিত ছিল।
২. দাক্ষিণাত্যের হিন্দুদের সমুচিত জবাব : দাক্ষিণাত্যের হিন্দুদের বিদ্রোহাত্মক মনোভাব লক্ষ্য করে তাদের উপর একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন ।
৩. নিরাপদ স্থান : রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তরের অন্যতম কারণ হলো মঙ্গলদের হাত থেকে নিজ সাম্রাজ্যকে নিরাপদে রাখা।
৪. মুসলিম সভ্যতার বিকাশ : ইসলামি ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে সুলতান দক্ষিণাত্যে মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর জন্য রাজধানী স্থানান্তর করেন।
৫. সম্পদের ব্যবহার : দক্ষিণাত্যের সম্পদ এবং প্রাচুর্য ছিল অনেক। সুলতান মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক তার সঠিক ব্যবহারের জন্য দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তর করেন।
রাজধানী স্থানান্তরের ফলাফল : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তরের ফলাফল সুবিধাজনক হয়নি।
নিম্নে এর ফলাফল আলোচনা করা হলো :
১. ক্ষমতা হ্রাস : দক্ষিণাত্যে রাজধানী স্থানান্তরের ফলে মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের ক্ষমতা উত্তর ভারতে বহুলাংশে হ্রাস পায়।
২. জনসাধারণের ক্ষোভ : দিল্লি হতে দেবগিরিতে যাওয়ার ফলে অধিবাসীরা অপরিচিত স্থানে বসবাস করে নিজেদের নির্বাসনতুল্য মনে করতে থাকে। যার জন্য জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ।
৩. অর্থনৈতিক ও মানব সম্পদের ক্ষতি : রাজধানী স্থানান্তরের কারণে তুঘলক বংশ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে এবং অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটে যা ক্ষমতাকে হ্রাস করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৩২৬-২৭ সালে মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক রাজধানী স্থানান্তরের সুব্যবস্থা করেন। কিন্তু নানাবিধ কারণে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর পিছনে মহান উদ্দেশ্য থাকলেও দিল্লিবাসীর নির্লিপ্ততায় তা ব্যর্থতায় রূপান্তরিত করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ । যদি তোমাদের আজকের মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।