মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো
- অথবা, মার্কিন সংবিধানের প্রকৃতি বর্ণনা কর।
- অথবা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।
- অথবা, মার্কিন সংবিধানের ৩ টি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : প্রত্যেক দেশের সংবিধানের কতকগুলো বিশেষ ধরনের এবং নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই সংবিধানের সামগ্রিক পরিচয় নিহিত থাকে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর আলোচনা থেকেই দেশের শাসনব্যবস্থার মূল চরিত্রটি পরিস্ফুট হয়ে উঠে।
আবার বৈশিষ্ট্যগুলোর উল্লেখ অন্যান্য দেশের সংবিধানের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা করলে এর সঠিক স্বরূপটি বোঝা যাবে।
মার্কিন সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিয়ে মার্কিন সংবিধানের আলোচনা করা হলো :
১. জনগণের সার্বভৌমত্ব : জনগণের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃ প্রতিম সংবিধানের উল্লেখযোগ্য প্রথম বৈশিষ্ট্য। মার্কিন সংবিধ
'আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। এই কথাগুলোর । সাবিধানের প্রস্তাবনায় এই রকম উল্লেখ গণ-সার্বভৌে পেট স্বীকৃতির পরিচায়ক
২. লিখিত সংবিধান : মার্কিন সংবিধান হলো বিশ্বের প্রাচীনতম | ধিক সংবিধান। এ হলো লিখিত সংবিধানের এক উল্লেখযোগ্য মার্কিন সংবিধানই পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান হিসেবে পরিণত।
এই সংবিধানে দেশের শাসনতান্ত্রিক আইনসমূহ কিভাবে সন্নিবিষ্ট আছে। যেকোনো দেশের লিখিত সংবিধান একটি মিষ্টি সংস্থার দ্বারা বিধিবদ্ধ এবং গৃহীত হয়।
৩.সংবিধানের প্রস্তাবনা : ১৭৮৭ সালে ফিলাডেলফিয়া এখানে রচিত ও গৃহীত মার্কিন সংবিধানেই সর্বপ্রথম একটি আবনা সংযুক্ত করা হয়। এর আগে সংবিধানে প্রস্তাবনা স্যামনের কোনো নজির নেই।
মার্কিন সংবিধানের পর থেকেই বিভিন্ন দেশের লিখিত সংবিধানের শুরুতেই একটি প্রস্তাবনা প্রযোজন বর্তমানে একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে।
৪. যুক্তরাষ্ট্রেীয় শাসনব্যবস্থা : মার্কিন সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির হলো এই সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই মার্কিন সংবিধানই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার উপযুক্ত উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা বলতে কেন্দ্র ও রাজাগুলোর মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন, লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় প্রবিধান এবং তার প্রাধান্য, যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের কর্তৃত্ব। দ্বৈত নাগরিকতা, মূলত এই চারটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত শাসনব্যবস্থাকে বুঝায় ।
৫. সংবিধানের প্রাধান্য : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার অন্যতম শিষ্টা হিসেবে সংবিধানের প্রাধান্যের কথা বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকৃত হয়েছে।
মার্কিন সংবিধানের ৬ নং ধারায় সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে ঘোষিত হাছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এবং উভয় সরকারের অঙ্গ সন্থাসমূহ এবং প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংবিধানের অধীন।
৬. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান : দুষ্পরিবর্তনীয়তা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিধানের একটি অন্যতম শর্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ভূ লিখিতই নয় বিশেষভাবে দুষ্পরিবর্তনীয় বটে।
সংশোধন পদ্ধতির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো একটি সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় বা সুপরিবর্তনীয় হয়। যে সংবিধান সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে পরিধান পরিবর্তন করা যায় তাকে দুষ্পরিবর্তনীয় বা নম বিধান বলে।
অপরদিকে যে সংবিধান সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা যায় না তার জন্য বিশেষ জটিল পদ্ধতি সরণ করতে হয় তাকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলে। একটি সংক্ষিপ্ত ও লিখিত সংবিধান। বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। তাছাড়া এ যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান অন্য দেশের সংবিধান এর জন্য মডেল স্বরূপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিধানের বৈশিষ্ট্য একটি রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।