মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর
- অথবা, মার্কিন দলীয় ব্যবস্থার প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূমিকা : গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব অপরিহার্য বিবেচিত হয়। গণতন্ত্র ও দলব্যবস্থা পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত।
বিশেষত উদারনৈতিক গণতন্ত্রের এই সম্পর্কযুক্ত বিশেষত উদারনৈতিক গণতন্ত্রের এ সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থা উদারনৈতিক গণতন্ত্রে প্রতিভূস্বরূপ। স্বাভাবিক কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রাজনৈতিক দলব্যবস্থার অস্তিত্ব তত্ত্বগত বিচারে অপরিহার্য।
→ মার্কিন দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য : মার্কিন দলীয় ব্যবস্থার কতকগুলো বিশেষ উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে। এ বৈশিষ্ট্যগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থাকে স্বতন্ত্রতা প্রদান করেছে। নিম্নে তা বর্ণিত হলো:
১. দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা : মার্কিন দলীয় ব্যবস্থার সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো তার দ্বি-দলীয় রূপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় স্তরে দুটি বৃহৎ দলের একাধিপত্য অটুট আছে।
রমিটার মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থার দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের একচেটিয়া আধিপত্যকে স্বৈরতান্ত্রিক দ্বি-দল ব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন। জাতীয় স্তরের এ বৃহৎ দুটি দল হলো | গণতন্ত্রী দল ও সাধারণতন্ত্রী দল।
২. বিকেন্দ্রীভূত দলীয় সংগঠন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রী ও সাধারণতন্ত্রী এই দুটি বৃহৎ দলের সংগঠন বিকেন্দ্রীভূত । উভয় দলই হলো কার্যত অঙ্গরাজ্য দল।
দলীয় নেতৃত্ব কেন্দ্রীভূত নয়, উভয় দলের সাংগঠনিক নেতৃত্ব বিক্ষিপ্ত, কোনো দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেই।
৩. দলীয় সংহতি ও শৃঙ্খলা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থায় সংহতি ও শৃঙ্খলার অভাব বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সদস্যদের মধ্যে দলীয় নিয়ন্ত্রণ বা সংহতি বড় একটা দেখা যায় না।
জাতীয় স্তরের নেতাদের সিদ্ধান্ত বা পরামর্শ উপেক্ষা করেও আঞ্চলিক স্বার্থ সমর্থনের নজির আইনসভার সদস্যদের মধ্যে দেখা যায় ।
৪. গণভিত্তিক দল : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দলের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি ধর্মীয়, পেশাগত বা অন্য কোনো রকম সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত।
দুটি দলই জনগণের সমর্থন লাভের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী, সামাজিক গোষ্ঠী, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানায় এবং দেশের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতামতকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে।
৫. নির্দলীয় নির্বাচক ও প্রার্থী : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্দলীয় প্রার্থী এবং নির্দলীয় ভোটদাতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। অন্য কোনো দেশের দলীয় ব্যবস্থায় এমন দেখা যায় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রাজনৈতিক দলই ক্ষমতা দখলের পর সমর্থকদের মধ্যে মতাদর্শগত দলীয় আনুগত্য দেখা যায় না। তা ছাড়া রাজনৈতিক দল দুটির মধ্যে মতাদর্শগত কোনো পার্থক্য নেই।
৬. স্বার্থগোষ্ঠীর প্রাধান্য : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার স্বার্থগোষ্ঠীর প্রাধান্য একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। প্রতিটি দলেই | স্বার্থগোষ্ঠীসমূহের প্রভাব প্রতিপত্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বাথগোষ্ঠীগুলোর উদ্দেশ্য হলো দলের নীতিকে নিজের স্বার্থের অনুকূলে প্রভাবিত করা। দলের আর্থিক ব্যয়ভার, প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনি প্রচারব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে স্বার্থগোষ্ঠীর যোগাযোগ থাকে।
উপসংহার : প্রকৃত প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণতন্ত্রী এবং গণতন্ত্র, উভয় দলই নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশবাসীর কাছে যে বক্তব্য পেশ করে তার মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শের কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না।
দল দুটি নির্বাচকদের কাছে কোনো বিকল্প কর্মসূচি পেশ করে না। কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দাঁড় করায়। দেশের সকল সামাজিক শ্রেণি ও অঞ্চলের সমর্থন লাভের জন্য উভয় দলই উদ্যোগী হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। যদি তোমাদের আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।