মার্কিন কংগ্রেস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কিন কংগ্রোস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কিন কংগ্রোস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মার্কিন কংগ্রেস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে |
মার্কিন কংগ্রেস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে
- অথবা, মার্কিন রাষ্ট্রপতি কংগ্রেস কর্তৃক কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে?
ভূমিকা : মার্কিন শাসনব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের নীতি প্রযুক্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাতে অনিয়ন্ত্রিতভাবে শক্তিশালী হয়ে স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত না হয় সে ব্যবস্থাও আছে।
রাষ্ট্রপতি যেমন কংগ্রেসের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, তেমনি কংগ্রেসও নানাভাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্য পরিচালনার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে Robert Dahl, "Today congress shares President control over policies of profund consequence's."
→ কংগ্রেস কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নিয়ন্ত্রণ : মার্কিন কংগ্রেস রাষ্ট্রপতিকে নিম্নলিখিত কতকগুলো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পায়। নিম্নে এ সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো :
১. ব্যর বরাদ্দের দাবি মঞ্জুর : মার্কিন রাষ্ট্রপতি নীতিনির্ধারণ করেন। কিন্তু কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তার পক্ষে সেই নীতি কার্যকর করা বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আবার রাষ্ট্রপতি বাজেট তৈরি করেন।
কিন্তু কংগ্রেসের অনুমোদন ভিন্ন তা কার্যকর করা হয় না। কংগ্রেস ব্যয় বরাদ্দ মঞ্জুর করে। রাষ্ট্রপতি কংগ্রেসের কাছে সে ব্যয় মঞ্জুরির দাবি পেশ করে কংগ্রেস তা পুরোপুরি নাও মেনে নিতে পারে।
২. ভেটো বাতিল : আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কংগ্রেসের উপর ন্যস্ত থাকে। মার্কিন কংগ্রেসে প্রশাসনিক দপ্তর বোর্ড প্রভৃতি গঠন করে। তবে এ সমস্ত কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির অনভিপ্রেত হলে তিনি ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।
কিন্তু কংগ্রেস আবার রাষ্ট্রপতির ভেটোকে বাতিল করতে পারে। রাষ্ট্রপতি নিক্সনের ভেটোকে নাকচ করে যুদ্ধ ও ক্ষমতা সংক্রান্ত আইন "War powers act" প্রণয়ন করে।
৩. নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসন বিভাগীয় কর্মচারী যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতসমূহের বিচারপতি এবং কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির এ সমস্ত নিয়োগের ব্যাপারে স্কিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন।
৪. সন্ধি অনুমোদন : মার্কিন রাষ্ট্রপতি কোনো আন্তর্জাতিক সন্ধি, বা চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করলে, সিনেটের অনুমোদন ছাড়া তা কার্যকর হয় না।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পর তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি উইলসন ভার্সাই চুক্তিপত্র ও স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু সিনেট তা অনুমোদন করেনি।
৫. ইমপিচমেন্ট : মার্কিন কংগ্রেস ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত করতে পারে। মার্কিন রাষ্ট্রপতির উৎকোচ, রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ, অসুস্থতার মুখে মার্কিন কংগ্রেস তাকে | ইমপিচমেন্ট ক্ষমতা বলে অপসারিত করতে পারে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার শাসনতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের ব্যবস্থা থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি ও কংগ্রেসের ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ও কংগ্রেসের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কখনই এক রকম হয় না। উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকে তবে তা চিরস্থায়ী নয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কিন কংগ্রোস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কিন কংগ্রোস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে। যদি তোমাদের আজকের মার্কিন কংগ্রোস কিভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রিত করে পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।