লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী |
লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী
- অথবা, লিখিত সংবিধানের দোষগুলো কী?
- অথবা, লিখিত সংবিধানের ত্রুটিগুলো উল্লেখ কর।
- অথবা, অথবা, লিখিত সংবিধানের দোষগুলো উল্লেখ কর।
- অথবা, লিখিত শাসনতন্ত্রের অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : একটি রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধান রাষ্ট্রের প্রাণস্বরূপ। রাষ্ট্রের নিয়মনীতি সকল বিষয় পরিচালিত হয় সংবিধান অনুযায়ী।
রাষ্ট্র কিভাবে পরিচালিত হবে, রাষ্ট্রের উপর জনগণের প্রত্যাশা, জনগণের উপর রাষ্ট্রের প্রত্যাশা এসব বিষয়াদি সংবিধানে উল্লেখ থাকে এবং সংবিধান অনুযায়ী একটা গণতান্ত্রিক দেশ পরিচালিত হয়।
→ লিখিত সংবিধানের দোষ : লিখিত সংবিধানের যেমন গুণ রয়েছে, তেমনি এর কতকগুলো দোষও রয়েছে। নিম্নে দোষগুলো আলোচনা করা হলো :
১. পরিবর্তন কষ্টসাধ্য : লিখিত সংবিধান এমন একটি সংবিধান যা সহজে পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু অলিখিত সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যায়। লিখিত সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে অনেক কষ্টে ভোটের মাধ্যমে পাস করে পরিবর্তন করতে হয়।
২. এক শ্রেণির হাতে ক্ষমতা : লিখিত সংবিধানে একটি শ্রেণি যারা ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছে, তারা দেশকে তাদের ইচ্ছামতো পরিচালনা করে এবং পরিচালনা করায়। তাতে সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হয় | বেশি 1
৩. রক্ষণশীলতা : লিখিত সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যায় না। লিখিত সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো লিখিত সংবিধান রক্ষণশীল। লিখিত সংবিধানের একটি সমস্যা হলো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাল মিলিয়ে চলতে এ সংবিধান ব্যর্থ ।
৪. জরুরি ক্ষেত্রে ব্যর্থ : লিখিত সংবিধান জরুরি ক্ষেত্রে ব্যর্থ। জরুরি মুহূর্ত আসে হঠাৎ করে। লিখিত সংবিধানের কার্যক্রম, পরিবর্তন, পরিমার্জন ধীরগতিতে হয় বলে জরুরি ক্ষেত্রে কাজে আসে না। এজন্য বলা হয় লিখিত সংবিধান জরুরি প্রয়োজনে অনেকটা ব্যর্থ ।
৫. রাজনৈতিক সমস্যা : লিখিত সংবিধানে এমন কতকগুলো বিষয় আছে, যা সংবিধানে উল্লেখ আছে। সরকারি দল সে অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নেয় এবং তারা বলে সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করছে। যা এক সময় সমস্যা আকারে দেখা দেয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, যে লিখিত সংবিধান এমন একটি সংবিধান যাতে রাষ্ট্রের আপাদমস্তক লিখিত আছে। তারপরও রাষ্ট্রের কতকগুলো বিষয় আছে, যা লিখিত সংবিধানে নেই। সময় অনুযায়ী তাল মিলিয়ে চলতে পারে না বলে এ সংবিধান দোষে দোষী ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী। যদি তোমাদের আজকের লিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো কী কী পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।