দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর |
দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর
- অথবা,পুষ্প বিধানের সুবিধাবলি আলোচনা কর।
- অথবা, দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের কি কি গুণাবলি রয়েছে? বর্ণনা কর।
- অথবা, পুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণগুলো কী কী?
- অথবা, দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর ভূমিকা: সংবিধান হলো রাষ্ট্র পরিচালনার দলিল। রাষ্ট্রের যাবতীয় নিয়মকানুন সংবিধানের লিপিবদ্ধ থাকে। সংবিধানকে মাঝ দরিয়ায় ভাসমান নৌকার হালের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
মাঝ দরিয়ায় ভাসমান হালবিহীন নৌকা যেমন টালমাটাল অবস্থায় থাকে, সংবিধানবিহীন রাষ্ট্রের অবস্থাও ঠিক একই ধরনের হয়।
দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সাধারণ অর্থে, দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান হলো সেই সংবিধান যা সহজে পরিবর্তন করা যায় না।
অর্থাৎ আইনসভার সদস্যরা সাধারণ আইন যেভাবে সংশোধন বা পরিবর্তন করতে পারেন, সেইভাবে সে সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারেন না তাকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলে।
→ দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের সুবিধাবলি রাষ্ট্রের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। নিম্নে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের সুবিধাবলি আলোচনা করা হলো।
১. স্থিতিশীলতা : দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান স্থিতিশীল হয়। কারণ এই সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যায় না এবং এর পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনেক জটিল।
তাই সরকার ইচ্ছা করলেই সংবিধানে সহজেই কোনো সংশোধনী আনতে পারে না। এই ধরনের সংবিধানে জনগণের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকে। তাই এটি অরো বেশি স্থিতিশীল হয়।
২. সুস্পষ্টতা : এটি একটি লিখিত সংবিধান তাই সরকারের গণতন্ত্র, ক্ষমতা কাঠামো, রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের কর্তব্য, বিচারব্যবস্থা প্রভৃতি স্পষ্ট ভাষায় লেখা থাকে।
৩. টেকসই উন্নয়নে সহায়ক : দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যায় না এবং এটি স্থিতিশীল হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাঝ পাথে উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়া রোধ করে।
৪. জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সজাগ দৃষ্টি : দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের অন্যতম দিক হলো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি এ সংবিধান সজাগ দৃষ্টি রাখে।
এ সংবিধানে একটি লিখিত সংবিধান এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরি বিশেষ কমিটি এটি প্রণয়ন করে বলে জনগণের প্রত্যাশার স্পষ্ট প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।
৫. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা : দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা সাংবিধানিকভাবে লিখিত আকারে প্রদান করা হয়।
তাই সরকারের অন্য কোনো বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এ ধরনের • সংবিধান দ্বারা স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
উপসংহার : উপরের আলোচনার পরিশেষে বলা য়ায় যে, দেশ পরিচালনার জন্য সংবিধানের ভূমিকা অপরিহার্য। সংবিধান রাষ্ট্রের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে।
তবে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান লিখিত হওয়ায় এটি রাষ্ট্র পরিচালনায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর। যদি তোমাদের আজকের দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের গুণাবলি বা সুবিধাসমুহ আলােচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।