কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।
কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর |
কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর
- অথবা, কমলসতা বলতে কী বুঝ? কমন্সসভার বিশেষ অধিকারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা কর।
- অথবা, কমন্সসভা কী? কমন্সসভার বিশেষ ক্ষমতা গুলো বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : মোট ব্রিটেন হলো সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার সংসদীয় শাসনব্যবস্থা সংসদ, বিশেষ সংসদের জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষের ভূমিকা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কক্ষবিশিষ্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষই হলো কালসন।
এই কমন্সসভাই হলো ব্রিটেনের জনপ্রতিনিধিত্বমূলক বক্ষ। সাধারণ নির্বাচনের পর যে রাজনৈতিক দল কমন্সসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই দলই মন্ত্রিসভা গঠন করে। এই মন্ত্রিসভাকে তাদের সকল কাজের জন্য ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে কমন্সসভার কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয়।
কমপসতার সংজ্ঞা : ব্রিটেনের বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হলো কমন্সসভা। কমপসতা ১২৯৫ সালের তথাকথিত ক্রমবিকাশের মাধ্যমে বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে।
কমপসভা জনপ্রতিনিধিমূলক কক্ষ হওয়ায় ধীরে ধীরে বংশানুক্রমিক পর্তপণের উপর প্রাধান্য বিস্তার করে। কমপসভাকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বলা | হলেও এটিই কার্যত পার্লামেন্টে ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে।
কমলসতার বিশেষ অধিকারসমূহ: বর্তমানে কমসসভার সদস্যগণ যেসব বিশেষ সুযোগ সুবিধা বা অধিকার ভোগ করেন, সেগুলো নিম্নরূপ :
১. বাকস্বাধীনতা : শুমপসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হলো সদস্যদের বাকস্বাধীনতা, ১৬৮৮ সালের অধিকারের বিল অনুসারে পার্লামেন্টের ভেতরে সদস্যদের বক্তৃতা, বিতর্ক এবং কার্যনির্বাহের স্বাধীনতা আছে এবং এ সম্পর্কে পার্লামেন্টের বাইরে কোনো জায়গায় বা আদালতে এর জন্য প্রশ্ন তোলা বা অভিযোগ উত্থাপন করা যাবে না। স্বৈরাচারী রাজশক্তির হাত থেকে পার্লামেন্টের সদস্যদেরকে রক্ষার জন্য সর্বপ্রথম এ অধিকার দাবি করা হয়।
২. আটক না হওয়ার স্বাধীনতা : দেওয়ানি মামলার অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে পার্লামেন্টের অধিবেশনকালে গ্রেপ্তার বা আটক করা যাবে না। অধিবেশন চলাকালীন সময় ছাড়াও অধিবেশন শুরু হওয়ার ৪০ দিন আগে এবং অধিবেশন শেষ হওয়ার ৪০ দিন পর পর্যন্ত কমপসভার সদস্যরা এ অব্যাহতি ভোগ করেন। কিন্তু ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে বা নিরাপত্তামূলক আটকের ক্ষেত্রে | সদস্যরা এ অব্যাহতি পেতে পারেন না।
৩. সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির না হওয়ার স্বাধীনতা : মজুরি হিসেবে কোনো মামলায় অংশগ্রহণের জন্য বা কোনো মামলার সাক্ষ্যদানের জন্য আদালত আহবান করলে যে কোে সাধারণ নাগরিক তদানুসারে কাজ করতে বাধ্য।
অর্থাৎ সাধারণ নাগরিকগণের কাছে আদালতের সংশ্লিষ্ট নির্দেশ বাধ্যতামূলক। কিন্তু উক্ত দুটি ক্ষেত্রে কমলসভার সদস্যরা অব্যাহতি ভোগ করেন।
কোনো মামলার বিচারের ক্ষেত্রে কমপসভার সদস্যদের জুরি হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা যায় না। আবার কমন্সসভার অধিবেশন চলাকালে কোনো সদস্যকে সভার অনুমতি ব্যতীত কোনো মামলার আদালতে সাক্ষী হিসেবে হাজির হতে বাধ্য করা যাবে না।
৪. অভ্যন্তরীণ পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণাধিকার : কমন্সসভার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পার্লামেন্টের প্রতিটি কক্ষ নিজ নিজ গঠন, কার্যক্রম, কার্যপদ্ধতি প্রভৃতি স্বাধীনভাবে নির্ধারণ করতে পারে।
এ বিশেষ অধিকার স্বীকৃত না হলে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্বের নীতি ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিজস্ব কার্যধারা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মকানুন রচনা করার এবং সেগুলোকে কার্যকর করার অধিকার কমন্সসভার রয়েছে।
তাছাড়া সদস্যদের আইনগত অযোগ্যতার মান নির্ণয় কোনো সদস্যকে বহিষ্কার কক্ষের সম্মানহানির জন্য কোনো সদস্যকে শাস্তি দান ইত্যাদি করার চূড়ান্ত ক্ষমতা কমন্সসভার হাতে অর্পিত হয়েছে।
৫. অবমাননার জন্য দণ্ডবিধানের অধিকার : কমন্সসভা তার অধিকার বলবৎ কার্যধারা নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য স্পিকারের মাধ্যমে কোনো সদস্যকে অশোভনীয় বা অশ্লীল ব্যবহারের জন্য তিরস্কার, বহিষ্কার প্রভৃতি শাস্তি প্রদান করতে পারে।
কিন্তু এটি অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা হলো যে, কমন্সসভা অন্যান্য আদালতের ন্যায় নিজের অবমাননা বা অধিকার ভঙ্গের জন্য দণ্ডবিধান করতে সমর্থ ।
৬. সদস্য নন এমন ব্যক্তিদের কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার অধিকার : কমন্সসভার সদস্য নন এমন ব্যক্তিদের কমন্সসভার কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
কমন্সসভার আলোচনা ও বিতর্কের গোপনীয়তা রক্ষা করার দরকার হলে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সাধারণত যুদ্ধ বা অনুরূপ কোনো জরুরি অবস্থায় এ রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
৭. কার্যবিবরণী প্রকাশের স্বাধীনতা : আগেকার প্রচলিত প্রথাগত আইন অনুসারে কমন্সসভা তার নিজের সদস্য ছাড়া অন্য কারও কাছে তার কার্যবিবরণী সম্পর্কিত কাগজপত্র প্রকাশ করতে পারতো না।
বর্তমানে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষই তাদের আলোচনা ও বিতর্ক সম্পর্কিত কাগজপত্র প্রকাশ করতে পারে এবং এ ব্যাপারে আদালত মানহানির কোনো মামলা দায়ের করা যাবে না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কমন্সসভার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যই সদস্যদের এসব অধিকার প্রদান করা হয় তবে কমন্সসভার সদস্যদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর অধিকার বলতে বাকস্বাধীনতার অধিকারকেই বুঝায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের কমন্সসভার বিশেষ অধিকারসমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।