ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ |
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ
- অথবা, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সাদৃশ্য দেখাও।
- অথবা, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যে সম্পর্ক নিরূপণ কর।
উত্তর : ভূমিকা : পার্লামেন্টারি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সূতিকাগার গ্রেট ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ও কেবিনেট ব্যবস্থার সমন্বয় একদিকে গণতন্ত্রকে যেমন পাকাপোক্ত করছে, অন্যদিকে রাজতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাথে কেবিনেটের সম্পর্ক বলতে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কেবিনেটের সাথে কমন্সসভার সম্পর্ককে বুঝায়।
→ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যে সম্পর্ক : নিম্নে পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করা হলো :
১. প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ : ব্রিটেনের সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়টি কমন্সসভার উপর নির্ভরশীল। এই ধরনের শাসনব্যবস্থায় সরকার বলতে দলীয় সরকারকেই বুঝায় ।
নির্বাচনের পর যে দল কমন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং রাজা বা রানি সেই দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করে পার্লামেন্টের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
২. আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে : আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। সংসদীয় পদ্ধতিতে পার্লামেন্টের অনুমতি ছাড়া কোনো বিল আইনে পরিণত হয় না। তাই আইন তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে পার্লামেন্টে কেবিনেট মন্ত্রী বিল উত্থাপন করেন।
৩. মন্ত্রিসভা গঠন : ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রধান অংশ রাজা বা রানি কমলসভার সংখাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে এবং তাঁর পরামর্শে অন্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন।
রাজার পরামর্শ দাতা হিসেবে মন্ত্রীরা কাজ করেন। যে সকল মন্ত্রী তার দপ্তরের একক ব্যক্তি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং তিনি কেবিনেটের সদস্য পদ লাভ করেন।
৪. অর্থবিল সংক্রান্ত বিষয় : পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কমলসতার অনুমোদন ছাড়া কেবিনেট বা সরকার কোনো অর্থ বরাদ্দ করতে পারে না। প্রতি অর্থ বছরের শুরুতে কেবিনেট বাজেট তৈরি করে এবং তা কমন্সসভায় উত্থাপিত করে।
কমন্সসভায় আলোচনার পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এ বাজেট পাস হয়। এভাবে অর্থবিল বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে।
৫. সরকারি আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ : সরকার বা কেবিনেট কমন্সসভার অনুমোদন ব্যতীত কোনো নতুন কর ধার্য বা কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারে না।
সরকারের সকল কাজকর্মের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। কেবিনেট তার প্রয়োজনীয় কার্যসম্পাদনের জন্য অর্থবছরের শুরুতে কমন্স সভার মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে থাকে।
৬. দায়িত্বশীলতা : কেবিনেট সম্পাদিত কার্যাবলির জন্য পার্লামেন্টের নিকট বিশেষত কমন্সসভার নিকট দায়িত্বশীল থাকে। মন্ত্রীদের এ দায়িত্বশীলতাকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(ক) ব্যক্তিগত দায়িত্বশীলতা এবং
(খ) যৌথ দায়িত্বশীলতা।
কেবিনেটের এ দায়িত্বশীলতা নীতির জন্য কেবিনেট ও পার্লামেন্টের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কেবিনেটের উপর | কমন্সসভার তথা পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ সঠিক ও সুস্পষ্ট তত্ত্বগতভাবে একথা ঠিক কিন্তু ব্যবহারিক ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা।
বর্তমানে পার্লামেন্টের ক্ষমতা ও প্রভাব অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে এবং পাশাপাশি কেবিনেটের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও কেবিনেটের মধ্যকার সম্পর্ক লেখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।