ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর |
ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর
- অথবা, লর্ডসভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর।
- অথবা, ব্রিটিশ লর্ডসভার গঠন বর্ণনা কর।
- অথবা, ব্রিটিশ লর্ডসভা কিভাবে গঠিত হয়?
- অথবা, ব্রিটিশ লর্ডসভার গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : ভূমিকা : উত্তরাধিকারসূত্রে পঠিত লর্ডসভার সদস্যগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন না। অর্থাৎ এখানে পিতার মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্রই পরবর্তী লর্ড হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে।
লর্ডসভার সদস্যসংখ্যা স্থায়ী নয়। ১৯৭৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত সদস্য সংখ্যা ১১০০ জন থাকলেও ১৯৮৭ সালের মাঝামাঝিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮৭ জন।
→ লর্ডসভার গঠন : লর্ডসভার গঠন নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১. পিয়ার ব্যবস্থা : ব্রিটেনের সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার প্রয়োজনেই সামন্তযুগে পিয়ার ব্যবস্থা গড়ে উঠে। চতুর্দশ শতাব্দীতে পিয়ার বা উত্তরাধিকারসূত্রে সদস্যপদ প্রাপকদের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা গড়ে উঠে।
২. লর্ড স্পিরিচ্যুয়াল : ব্রিটিশ লর্ডসভায় ২৫ জন আজন্ম লর্ড আছেন। তাদের মধ্যে প্রধান হলেন কেন্টারগরা এবং ইয়র্কের আর্চ বিশপগণ এবং লন্ডনের ডারহাম ও উইন চেস্টারের বিশপগণ। বাকি ২১ জন আজন্ম লর্ডকে চাকরির বয়োজ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়।
৩. লর্ড অব আপিল ইন অর্ডিনারি : সাধারণত আপিল লর্ডসভায় ৯ জন লর্ড আছেন। তারা 'ল' লর্ড নামেও পরিচিত। তাদের সারা জীবনের জন্য নিয়োগ করা হয় প্রখ্যাত আইন বিজ্ঞদের মধ্যে থেকে। তারা লর্ডসভার বিচার বিভাগীয় কাজ সম্পাদন করে থাকেন।
৪. আজীবন পিয়ার : লর্ডসভায় আজীবন পর্যায়ের সংখ্যা প্রায় ২৭৫ জন। এরা পার্লামেন্টের লর্ড নামেও পরিচিত। রাজা বা রানি যেকোনো ব্যক্তিকে আজীবন পর্যায়ের পদ দান করতে পারেন। এভাবে তারা লর্ডসভায় সদস্য পদ অধিকার করে।
৫. উত্তরাধিকার সূত্রে পিয়ার : লর্ডসভার বেশিরভাগ সদস্য উত্তরাধিকারসূত্রে এদের সংখ্যা ৮৫০ জন। যুক্তরাজ্য ও স্কটল্যান্ডের পিয়ারগণ প্রায়ই বংশগত উপাধি ধারণ করেন।
তাই তারা উত্তরাধিকারসূত্রে লর্ডসভার সদস্যপদ লাভ করেন। মহিলারাও উত্তরাধিকার সূত্রে পিয়ার পদলাভ করে লর্ডসভায় আসন গ্রহণ করতে পারেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, লর্ডসভা হলো ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ। পৃথিবীর প্রচীনতম দ্বিতীয় কক্ষ হলো এই লর্ডসভা। ব্রিটিশ শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসে অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো লর্ডসভাও হলো দীর্ঘকালের ক্রমবিকাশের ফল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ লর্ড সভার গঠন পদ্ধতি আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।