ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।
ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর |
ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর
- অথবা, লর্ডসভা বলতে কী বুঝ? ব্রিটিশ লর্ডসভার বিশেষাধিকারগুলো সম্পর্কে বর্ণনা দাও।
- অথবা, লর্ডসভা কী? ব্রিটিশ লর্ডসভার বিশেষ ক্ষমতার কারণগুলো বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : গ্রেট ব্রিটেন পৃথিবীর পার্লামেন্টীয় শাসনব্যবস্থার পীঠস্থান। পার্লামেন্ট ব্রিটেনের আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ সংস্থা। বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বলতে রাজা বা রানিসহ পার্লামেন্টকে বুঝায়।
রাজা বা রানি এবং লর্ডসভা ও কমন্সসভা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট গঠিত। এরা কেবল কোনো কোনো অনুষ্ঠানেই একত্রে মিলিত হয়। বিশ্বের অনেক দেশের আইনসভাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুকরণে গড়ে উঠেছে। সেজন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে পার্লামেন্টের জননী বলা হয়ে থাকে ।
লর্ডসভার সংজ্ঞা : লর্ডসভা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ এটিই পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের মধ্যে প্রাচীনতম কক্ষ। এটি নর্মান = যুগের বৃহত্তর পরিষদ (Magnum concilism) নামক সংস্থা জুতে বিবর্তন লাভ করে বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে। বস্তুত আইনসভার উচ্চকক্ষ হিসেবে এটি পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন।
'Frank Stacey বলেছেন, "পর্জনতা ব্রিটেনের শাসন পদ্ধতির এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য স্বরূপ। কিন্তু বর্তমানে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এর ক্ষমতা হ্রাস পয়।
লর্ডসভার সদস্যসের বিশেষাধিকার : লর্ডসভার সদস্যরা কতকগুলো বিশেষ অধিকার বা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। এ অধিকারগুলো নিম্নরূপ:
১. মন্তব্য করার অধিকার : লর্ডসভার সদস্যগণ কক্ষের মধ্যে বক্তৃতা প্রদানের স্বাধীনতা ভোগ করেন। কক্ষের বাইরে তারা যেসব মন্তব্য করতে পারেন না, সেসব মন্তব্য কক্ষের মধ্যে করতে পারেন।
২. দেওয়ানি অপরাধ মওকুফ : পার্লামেন্টের অধিবেশন বসার ৪০ দিন আগে বা ৪০ দিন পরে কোনো লর্ডকে কোনো দেওয়ানি অপরাধের জন্য আটক করা যায় না।
৩. অযোগ্য লোকদের সুযোগ না দেওয়া : কোনো ব্যক্তিকে অযোগ্য মনে করলে পর্তসত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সভার কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ নাও দিতে পারে ।
৪. প্রতিবাদ করার সুযোগ : লর্ডসভার সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিবাদ সভার কার্যবিবরণীতে লিপিবন্ধ করতে পারেন।
৫. শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ : সভার অবমাননার জন্য লর্ডসভা যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। আবার কাউকে আটক রাখা হলে অধিবেশন বন্ধ হওয়ার ফলে সে মুক্তি পায় না।
৬. বিচার কার্যসম্পাদন : লর্ডসভা ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে কাজ করার অধিকারী। তবে বর্তমানে এই বিশেষ অধিকারটি কেবলমাত্র আপিল লর্ডরাই ভোগ করে থাকেন।
কারণ লর্ডসভা যখন আপিল আদালত হিসেবে বিচারকার্যসম্পাদন করে, তখন আইনজ্ঞ লর্ডগণ ছাড়া অন্যান্যরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন না। তাছাড়া লর্ডসভা কমন্সসভা কর্তৃক আনীত গুরুতর অভিযোগের বিচার করার অধিকারী।
৭. বিশেষ অধিকারটি বিলোপ সাধন : লর্ডসভার সদস্যগণ দেশদ্রোহিতা বা অপকর্মের জন্য অভিযুক্ত হলে সহ- পিয়ারদের যারা বিচার কার্যসম্পাদনের জন্য দাবি জানাতে পারেন। অবশ্য বর্তমানে এ বিশেষ অধিকারটি বিলোপ সাধন করা হয়েছে।
৮. রাজা বা রানির সাক্ষাৎ : লর্ডসভার প্রতিটি সদস্য রাজা বা রানির সাথে পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক অধিকার লর্ডসভা ভোগ করে থাকে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, লর্ভসতা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তি। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হিসেবে লর্ডসভা অনেক বিশেষ অধিকার ভোগ করে থাকেন। লর্ডসভার সদস্যগণ অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ লর্ড সভার বিশেষাধিকারসমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।