ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ |
ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ
- অথবা, ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখাও।
- অথবা, ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।
- অথবা, ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
উত্তর : ভূমিকা : ব্রিটিশ কেবিনেট শাসনব্যবস্থায় সর্বাধিক আত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ব্রিটিশ কেবিনেট ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের বিবর্তনের ফলে গড়ে উঠেছে। সাধারণত কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদ একই অর্থে ব্যবহৃত হলেও প্রকৃতপক্ষে এদের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।
→ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য : নিম্নে এদের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হলো।
১. আয়তনের দিক দিয়ে : আয়তনের দিক দিয়ে কেবিনেট আপেক্ষা মন্ত্রিপরিষদের পরিসর অনেক বড়। মন্ত্রিসভা হলো মন্ত্রীদের একটি সংস্থা। সাধারণত ৬০-৭০ জন সদস্যের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।
কিন্তু কেবিনেট গঠিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের নিয়ে। সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য নিয়ে কেবিনেট গঠিত হয়।
২. গঠনগত দিক থেকে : গঠনগত দিক থেকে মন্ত্রিসভা ও কেবিনেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মন্ত্রিসভা গঠিত হয় কেবিনেট মন্ত্রী, রাষ্ট্র মন্ত্রী, সংসদীয় সচিবদের সমন্বয়ে কিন্তু কেবলমাত্র কেবিনেট মন্ত্রীদের সমন্বয়েই কেবিনেট গঠিত হয়। কেবিনেট হলো মন্ত্রিসভার মধ্যে একটি ক্ষুদ্র বৃত্ত।
৩. সদস্যপদ লাভের দিক থেকে : সদস্যদের দিক থেকেও মন্ত্রিসভা ও কেবিনেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মন্ত্রিসভার সকল সদস্য প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য নন। কিন্তু কেবিনেটের সকল সদস্যকে প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হতে হয়। অর্থাৎ কেবিনেটের সকল সদস্যই প্রিভি কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করে।
৪. দায়িত্বশীলতার দিক দিয়ে : দায়িত্বশীলতার দিক থেকে মন্ত্রিসভা ও কেবিনেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কেবিনেটে সদস্যগণ যৌথভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং তাদের কাজের জন্য পার্লামেন্টের নিকট দায়ী থাকেন। কিন্তু মন্ত্রিসভার সদস্যদের যৌথ দায়িত্বশীলতা নেই। তারা এককভাবে একেকটি দপ্তরের দায়িত্ব পালন করে।
৫. গুরুত্বের দিক দিয়ে : গুরুত্বের দিক থেকেও উভয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কেবিনেটের গুরুত্ব মন্ত্রিসভা অপেক্ষা বেশি। সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণ সভা সাধারণত কেবিনেট সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
কেবিনেট যেসব নীতিনির্ধারণ করে সেগুলোই দেশের শাসন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে মন্ত্রিসভার গুরুত্ব কেবিনেট অপেক্ষা কম। মন্ত্রিসভাকে নীতিনির্ধারণ করতে হয় না। মন্ত্রীর নিজ নিজ দপ্তর নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, শাসনব্যবস্থায় কেবিনেট ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ব্রিটিশ কেবিনেট যেসব কার্যাবলি সম্পাদন করে সেগুলোই ব্রিটিশ সরকারের কাজ।
ব্রিটিশ কেবিনেট যে কাজ করে পার্লামেন্ট সেই কাজকে সমর্থন করে থাকে। ফলে কেবিনেট দিন দিন ক্ষমতাশালী হচ্ছে। ব্রিটিশ কেবিনেট ব্যবস্থা মন্ত্রিপরিষদ হতে ভিন্ন হলেও মন্ত্রিসভার একটি ক্ষুদ্র অংশ হিসেবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ কেবিনেট ও মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে পার্থক্য লেখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।