ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর |
ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর
- অথবা, ব্রিটিশ কর্মপসভার স্পিকার কিভাবে নির্বাচিত হন?
- অথবা, ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কমন্সসভার সভাপতিকে স্পিকার বলা হয়। ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় স্পিকার পদটি অত্যন্ত মর্যাদাজনক ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক ডাইসির মতে, "No institution express ' more faithfully the sprint of the constitution." কমন্সসভার সকল কাজে তার ভূমিকার গুরুত্ব অপরিসীম।
→ নির্বাচন পদ্ধতি : প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের পর নবগঠিত কমন্সসভার প্রথম অধিবেশনে ১ম দিনের কাজই হচ্ছে কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন। স্পিকার সাধারণভাবে কমন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকেই মনোনীত হন।
তবে অনেক ক্ষেত্রে শাসকদলের মধ্যে বিরোধের ফলে বিরোধী দলের প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন। আবার, সাধারণত প্রাক্তন স্পিকার সক্ষম, সুস্থ ও আগ্রহী থাকলে তাকেই স্পিকার পদে পুনঃনির্বাচিত করা হয়।
নতুন কাউকে স্পিকার পদে নির্বাচিত করার দরকার হলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সাথে পরামর্শ করেন এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একজনের নাম স্পিকার পদের জন্য ঠিক করা হয়।
সরকারের উপরে একজন সদস্য স্পিকার পদের সংশ্লিষ্ট সদস্যের এ প্রস্তাব করেন এবং বিরোধী সদস্য এর প্রস্তাব সমর্থন করেন। এভাবে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে পারস্পরিক বুঝাপড়ার ভিত্তিতে স্পিকার নির্বাচিত হন।
তবে ১৯৩৫, ১৯৪৫, ও ১৯৫১ সালে স্পিকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও বর্তমানে প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত প্রথা হলো স্পিকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। বর্তমানে স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি নিছক একটি আনুষ্ঠানিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
স্পিকারের যোগ্যতা : যোগ্যতাসমূহ-
(ক) কমন্সসভার সদস্য হতে হবে।
(খ) অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হতে হবে।
(গ) নিরপেক্ষ হতে হবে।
(ঘ) রাজা বা রানির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ সরল। যদি পূর্বের স্পিকার পুনঃনির্বাচিত হতে ইচ্ছা পোষণ করেন তবে সরকারি ও বিরোধী দলের বিশেষ কোনো ভূমিকা লক্ষ করা যায় না। আবার নতুন স্পিকার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্বপদে আসীন থাকেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।