ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি |
ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি
- অথবা, প্রথা কত প্রকার ও কী কী?
- অথবা, ব্রিটিশ সংবিধানের প্রথাসমূহকে কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
- অথবা, প্রথার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : ভূমিকা : প্রথাগত বিধান বা শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতিসমূহ ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু প্রথাগত বিধান কোনো আইন নয়।
এটি সমাজ ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত থাকে। এর পেছনে আদালতের সমর্থন নেই এবং আদালত গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরও ব্রিটেনে কঠোরভাবে প্রথাগত বিধান মেনে চলা হয়।
প্রকারভেদ : প্রথাকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। বিভিন্ন চিন্তাবিদগণ বিভিন্নভাবে প্রথাকে ভাগ করেছেন। নিম্নে ভাগগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো। প্রথার বিধানকে চারভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা :
(ক) মন্ত্রিসভা সম্পর্কিত প্রথাগত বিধান :
১. মন্ত্রিসভা কমন্সসভার নিকট দায়ী থাকেন এবং এক অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন করলে মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে।
২. মন্ত্রিসভার প্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পদত্যাগ করলে সরকারও পদত্যাগ করতে বাধ্য থাকে।
৩. প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাজা বা রানি পার্লামেন্ট ভেঙে দিবেন ।
৪. রাজা বা রানি মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে।
(খ) রাজার সাথে জড়িত প্রথাগত বিধানসমূহ :
১. সমস্ত কার্যক্রম রাজার নামে পরিচালিত হবে।
২. রাজা তার ভোট প্রয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা কখনো প্রয়োগ করেন না ।
৩. রাজা ইংল্যান্ডের সকল সরকারি কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারেন।
(গ) পার্লামেন্টের কার্যাবলি সম্পর্কিত প্রথাগত বিধান :
১. পার্লামেন্ট সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ ।
২. পার্লামেন্টের অধিবেশন বছরে অন্তত একবার বসবে।
৩. অর্থবিল শুধু কমন্সসভাতেই উত্থাপিত হবে।
৪. পার্লামেন্টে বিতর্কে সরকারি পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের বক্তৃতা পর্যায়ক্রমে চলতে হবে।
(ঘ) কমনওয়েলথ দেশসমূহের সাথে জড়িত প্রথাগত বিধান :
১. ডোমিনিয়নগুলোর অনুমতি ব্যতীত ডোমিনিয়নদের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কোনোরূপ আইন প্রবর্তন করে না।
২. ডোমিনিয়ানদের মন্ত্রিসভার অনুরোধ ব্যতীত ডোমিনিয়ানদের রাজা বা রানি ডোমিনিয়নদের গভর্নর জেনারেল প্রয়োগ করে না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ জনগণের স্পর্শকাতর হৃদয় এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য স্পৃহাই প্রথাগত বিধানের মূল উৎস। আর এ শক্তির বলে বলীয়ান হয়েই এগুলো আইন না হয়ে আইনের ভূমিকা পালন করছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটেনের সাংবিধানিক রীতিনীতি গুলো কি কি পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।