ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর |
ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ হতে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ব্রিটেনের এখনও রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ আছে। ব্রিটেনে রাজতন্ত্রের ইতিহাস দেড় হাজার বছরের পুরনো।
তবে ১৬৬৮ সালের বিপ্লবের পর ইংল্যান্ডের রাজতন্ত্রের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অবসান ঘটেছে। ইংল্যান্ডের রাজা এখন নিয়মতান্ত্রিক সরকার, তবে তাঁর প্রকৃত পক্ষে কোনো ক্ষমতা নেই। কিন্তু ব্রিটেনে এখনও রাজতন্ত্র টিকে আছে।
১. ইংরেজ জাতির রক্ষণশীল চরিত্র : রক্ষণশীল মনোভাব সম্পন্ন ইংরেজ জাতি পুরাতনকে বর্জন না করে তাকে বিবর্তন করে যুগোপযোগী করে তোলে এবং জাতীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে রাখে। তাই রাজতন্ত্র প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হয়েও তাদের অন্তরের অতল গহারে সমমর্যাদার প্রোথিত হয়ে আছে।
২. রাজতন্ত্রের জনপ্রিয়তা : ব্রিটিশ রাজতন্ত্র কেবল রাজা রামির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মতো নয়। এটি রাজা বা রানির হাতে থাকে বলে জনপ্রিয় বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
৩. নিরপেক্ষ রাজনীতি : ইংল্যান্ডের রাজা বা রানি সর্বনা রাজনীতি বা দলাদলির উর্ধ্বে অবস্থান করে। এ কারণে রাজা বা রানি যেকোনা বিরোধে মধ্যস্থতা করতে পারে।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে রাজা বা রানির যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার প্রেক্ষিতেই তারা মন্ত্রিসভাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারে। এগুলো রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
৪. রাজা বা রানির ব্যক্তিগত ভূমিকা : কোনো কোনো রাজা বা রানির ব্যক্তিগত চরিত্র রাজশক্তির প্রভাব ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, রানি ভিক্টোরিয়া অনেকের নিকটই মাতৃস্বরূপ ছিলেন। রাজ্যে পঞ্চম জর্জকে জনসাধারণ দেশের পিতার ভূমিকার অধিষ্ঠিত করেছিলেন।
৫. কেবিনেটকে পরামর্শদান : এই রাজতন্ত্র ব্রিটেনের কেবিনেটকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে। থাকে। কেবিনেটকে রাজা বা রানি তাদের প্রয়োজন অনুসারে দায়িত্ব প্রদান করে থাকে।
৬. জাতীয় ঐক্যের প্রতীক : রাজশক্তি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক স্বরূপ। রাজশক্তি সরকারের ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি | করতে সাহায্য করে কেননা সরকারি ও বিরোধী উভয় দল রাজার | বিশ্বস্ত ও অনুগত বলে বিবেচিত।
৭. ব্যয়বহুল নয় : গণতান্ত্রিক দেশসমূহের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। এই দিক দিয়ে হিসেব করলে দেখা যায় ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ব্যয়বহুল নয়। এটি বংশানুক্রমিকভাবে নির্বাচিত হয়ে থাকে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রাজতন্ত্র ব্রিটেনের এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা যুগ যুগ ধরে সকল শ্রেণির লোকের অনুমোদনের উপর টিকে আছে।
ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার বহুবিধ কারণ বিদ্যমান। যে রাজতন্ত্র টিকে থাকার বহুবিধ কারণ থাকা সত্ত্বেও মূলত অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণই এর মধ্যে প্রধান ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকে থাকার কারণ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।