বঙ্গভাষা কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার কর
বঙ্গভাষা কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার কর |
বঙ্গভাষা কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার কর
অথবা, ‘বঙ্গভাষা” কবিতার নামকরণের রীতি ও সার্থকতা আলোচনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা ঃ কোনো সাহিত্যকর্ম বা কবিতাকে চিহ্নিত করার প্রয়োজনেই প্রথমত নাম দেয়া হয় বা নামকরণ করা হয়। তবে কোনো কবিতার যাচ্ছেতাই নাম দেয়া চলে না। কবিতার নাম অর্থবহ হতে হয়। অর্থবহ বলতে কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে প্রদত্ত নামটির গভীর সম্পর্ক থাকা চাই।
একটি শিশির বিন্দুর মধ্যে যেমন প্রকাণ্ড সূর্যের প্রতিবিম্ব দেখা যায়, তেমনি ছোট নামটির মধ্যে সমগ্র কবিতা সাহিত্যকর্মের বিষয়ে প্রতিফলন ঘটা দরকার ।
এ ছাড়া নামটি হতে হয় যথাসম্ভব ছোট এবং শ্রুতিমধুর। নামকরণের সার্থকতা যাচাই ঃ ‘বঙ্গভাষা’ কবিতায় কবি তার মাতৃভাষা বাংলা সম্পর্কে কথা বলেছেন। এক সময় তিনি মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে মহা ভুল করেছিলেন।
সে ভুল তিনি যথাসময়ে বুঝতে পেরে বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চায় মনোযোগী হয়েছেন এবং খ্যাতি লাভ করেছেন। এই হলো কবিতার বিষয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কবিতায় বর্ণিত বিষয়বস্তুর সাথে ‘বঙ্গভাষা' নামটির গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
এ ছাড়া নামটি একটি মাত্র শ্রুতিমধুর শব্দের। কাজেই আমরা বলবো ‘বঙ্গভাষা' কবিতার নামকরণ যথার্থ হয়েছে। কেননা বঙ্গভাষা কবিতার নামকরণ বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।
উপসংহার : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর হৃদয়ের ভাবকল্পনা ‘বঙ্গভাষা' কবিতায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন, এখানে বঙ্গভাষার প্রতি কবির অকৃত্রিম ভালোবাসা ও আত্মসমর্পণ প্রতিফলিত হয়েছে। কাজেই পরিশেষে বলা যায়, 'বঙ্গভাষা' কবিতার নামকরণ সার্থক ও যুক্তিযুক্ত হয়েছে।