ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ |
ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ
- অথবা, মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাস রচনার উপকরণ ও উপাদান প্রচুর। তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো সরকারি দলিলপত্র, সমসাময়িক লেখকদের রচনা ও সাহিত্য, বিদেশি বণিক এবং পর্যটকদের বিবরণী, স্মৃতিস্তম্ভ ও অট্টালিকা এবং মুদ্রা ও শিলালিপি।
ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাস রচনায় এসব উপকরণের অবদান অপরিসীম। কেননা সুলতানি আমলের সরকারি দলিলপত্র ঐ যুগের ইতিহাস লেখার অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উপকরণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
→ ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব : ভারতে মুসলিম যুগের ইতিহাস রচনার উৎস হিসেবে মূলত ৫টি উৎসকে ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হলো- সরকারি দলিলপত্র, সমসাময়িক ঐতিহাসিকদের রচনা ও সাহিত্য, বিদেশি বণিক ও পর্যটকদের বিবরণী, স্মৃতিস্তম্ভ, অট্টালিকা, মুদ্রা ও শিলালিপি ।
এই পাঁচটি উৎসের মধ্যে অন্যতম একটি হলো মুদ্রা ও শিলালিপি। কেননা মুসলিম ভারতের ইতিহাস রচনায় সে সময়কার মুদ্রা ও শিলালিপি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উৎস।
সুলতানি ও মুঘল শাসনকালের মুদ্রাগুলো ঐ যুগের মুদ্রানীতি এবং ধাতু শিল্পের পরিচয় দিয়ে থাকে । এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির সঠিক তারিখ এবং তৎকালীন অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা জানতে মুদ্রা যথেষ্ট সাহায্য করে।
সাধারণত পাথর কিংবা তাম্রপাত্রের উপর নানাবিধ অনুশাসন লিপি লিখিত হতো। এই অনুশাসন লিপি হতে ঐতিহাসিক ঘটনাবলির যথার্থ তারিখ নির্ধারণ করা যায়।
এজন্যই ঐতিহাসিকগণ ভারতের মুসলিম ইতিহাস রচনায় মুদ্রাকে একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা মুদ্রা ছিল ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাস রচনার একটি নির্ভরযোগ্য উৎস।
এই মুদ্রা থেকে লেখকগণ বিভিন্ন ঘটনার সুনির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়া মুদ্রা ও শিলালিপি প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসের প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে এগুলো ইতিহাস জানার মুখ্য উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ। যদি তোমাদের আজকের ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।