বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও |
বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও
- অথবা, বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান?
- অথবা, বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে একটি নিবন্ধ রচনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : ১২৬৬ সালে নিঃসন্তান নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহর মৃত্যুর পূর্বে তার শ্বশুর ও প্রধানমন্ত্রী বলবনকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন।
৬০ বছর বয়সে বলবন গিয়াসউদ্দিন উপাধি ধারণ করে দিল্লির সিংহাসনে উপবিষ্ট হন। সিংহাসনে আরোহণ করেই তিনি বিভিন্ন বিদ্রোহ ও বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন হন।
বলবনকে ১২৯৭ সালে বাংলা শাসনকর্তা তুম্রিল খানের নেতৃত্বে পরিচালিত এক ভয়াবহ বিদ্রোহের মোকাবেলা করতে হয়।
ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানির মতে, বাংলার লোকেরা সুযোগ পেলেই বিদ্রোহী হয়ে উঠত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করত।
→ বাংলায় বলবনের বিদ্রোহ দমন : গিয়াসউদ্দিন বলবনের বাংলা অভিযানের বহুবিধ কারণ ছিল। নিম্নে বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ উল্লেখ করা হলো :
সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বার্ধক্য এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে মোঙ্গল আক্রমণের সুযোগ নিয়ে ১২৭৮ সালে বাংলাদেশের শাসনকর্তা গিয়াসউদ্দিন তুথ্রিল বিদ্রোহী হয়ে উঠে।
এ সময় তিনি এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। তিনি সুলতান মুগিসউদ্দিন উপাধি ধারণ করে স্বীয় নামে মুদ্রাঙ্কন করেন এবং নিজের নামে খুৎবার আদেশ দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
এরূপ অবস্থায় বলবন আমির খানকে তুঘ্রিলের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। কিন্তু তিনি তুমিলের বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হলে সুলতান সেনাপতিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
উপরন্ত মালিক তারঘির নেতৃত্বে পুনরায় অভিযান ব্যর্থ হলে সুলতান বলবন সৈসন্যে তুঘ্রিলের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। বলবনের আগমনের সংবাদে তুঘ্রিল রাজধানী লক্ষণাবতী ত্যাগ করে সোনারগাঁও এবং পরে উড়িষ্যা অভিমুখে পলায়ন করে। বলবন শেষ পর্যন্ত তাকে ১২৮১ সালে গ্রেফতার ও হত্যা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, এইভাবে গিয়াসউদ্দিন বলবন বাংলার বিদ্রোহ শাসক তুলি খানকে পরাজিত ও হত্যা করে তার দ্বিতীয় পুত্র বুঘরা খানকে বাংলাদেশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দিল্লিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এ সময় বাংলা দিল্লির শাসনাধীনে চলে আসে এবং শুরু হয় বলবনী শাসন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও। যদি তোমাদের আজকের বাংলায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বিদ্রোহ দমনের বিবরণ দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।