বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি |
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি
উত্তর : ভূমিকা : একটি দেশের দলিল হলো সংবিধান। তবে সে দলিল কারণ ও ঘটনা প্রবাহের সাথে মিল রাখতে হলে মাঝেমধ্যে সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে।
ভিন্ন প্রেক্ষাপটের সাথে যদি কোনো দেশ তাল মিলিয়ে চলতে চায়, তবে নানাবিধ কারণে তাদেরকে সংবিধান সংশোধন করতে হয়। সংবিধান সংশোধন অতি সহজ কথা নয়। সংবিধান সংশোধন করতে গেলে কতিপয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।
সংবিধান সংশোধন : সংবিধান নানাভাবে সংশোধন করা যায়। তবে বিভিন্ন রাষ্ট্র চিন্তাবিদরা মনে করে প্রধানত দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা শ্রেয় :
১. সুপরিবর্তনীয় পদ্ধতি : এ পদ্ধতি হলো সংবিধান সহজে পরিবর্তনীয় একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে সংবিধান সংশোধনে তবে জটিলতা পোহাতে হয় না। তবে সংখ্যাধিকার ভোটের ভিত্তিতে এ পদ্ধতিতে সংবিধান পরিবর্তন করা যায়।
২. দুষ্পরিবর্তনীয় পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে সাধারণত সংবিধানকে সহজে সংশোধন করা যায় না। তবে অলিখিত সংবিধান সহজে সংশোধন করা যায়। লিখিত সংবিধান সহজে সংশোধন যোগ্য নয়।
নানা পদ্ধতি মেনে লিখিত সংবিধান সংশোধন করা যায়। যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লিখিত তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যায় না ৷
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সংবিধান সংশোধন একটি জটিল বিষয়। কোনো সংবিধানই সহজে সংশোধন করা যায় না।
লিখিত হউক বা অলিখিত হউক সংবিধান সংশোধন করতে কতিপয় পদ্ধতির মাধ্যমে যেতে হয়। তবে সার কথা হলো সংবিধান সংশোধন একটা জটিল প্রক্রিয়া।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি। যদি তোমাদের আজকের বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি কি পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।