বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর |
বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর
- অথবা, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ বর্ণনা কর।
- অথবা, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
- অথবা, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় স্বতন্ত্রীকরণ নীতির কার্যকারিতা আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ক্ষমতা। মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়ার পরই ক্ষমতা রাজনীতির এক ব্যাপক আলোচ্য বিষয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা একদিকে সরকারকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলে, অন্যদিকে নাগরিক স্বাধীনতাও খর্ব করে। তাই সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা রোধ ও নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ ক্ষমতা র।
স্বতন্ত্রীকরণ নীতির উদ্ভাবন করেন। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল সর্বপ্রথম ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রবর্তন করেন। তবে মন্টেস্কু ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির ভিত্তি মজবুত করেন।
বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির = প্রয়োগ: বাংলাদেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার প্রবর্তিত হওয়ার ফলে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি প্রতিপালিত হয়নি।
কেননা যন্ত্রীরা আইন পরিষদের সদস্য। শাসন বিভাগ এখানে আইন পরিষদের = সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মন্ত্রিপরিষদের কার্যাবলি আইন পরিষদ ।
কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ সরকারের অন্যান্য = বিভাগ থেকে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র। যদিও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ শাসন বিভাগ কর্তৃক নিযুক্ত হন এবং আইন পরিষদ বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
১৯৭৫ সালে প্রণীত চতুর্থ সংশোধনী আইনের ফলে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রবর্তিত হয়েছিল। অনেক ঘটনা প্রবাহের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।
১৯৭৮ সালের ৩ জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয়।
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদের সদস্যগণ নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি এরশাদ | জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন।
এরশাদ সরকারের পতনের পর বিশেষ করে স্বাদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবারো মন্ত্রিপরিষ শাসিত সরকার প্রবর্তিত হয়।
পরিবর্তিত অবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের পরিবর্তে বাংলাদেশে এখন ক্ষমতা সম্মিলনের পর্ব শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের হস্তে ন্যস্ত হয়েছে নির্বাহী কর্তৃত্ব।
মন্ত্রিপরিষদ কিন্তু জাতীয় সংসদ থেকেই জন্ম লাভ করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের নেত্রী। দেশে আইনগতভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রয়েছে।
কার্যত বিচার বিভাগের শীর্ষ পর্যায় অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীনও বটে কিন্তু বিচারপতিগণ প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। প্রধান বিচারপতি অবশ্য রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতায় নিয়োগপ্রাপ্ত।
বিচার বিভাগের নিম্ন পর্যায়ে বিচার ও অন্যান্য কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী কর্তৃত্বের অধীনে প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও দেখা যায় এক ধরনের সম্মিলন। ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও তাদের কিছু কিছু বিচারকার্যও সম্পন্ন করতে হয়।
তবে এটাও উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে সরকারের তিনটি বিভাগই স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র বিভাগীয় কার্যক্রম। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের যেভাবে প্রত্যেকটি বিভাগ পৃথকভাবে সংঘটিত হয় ঠিক সেইরূপ না হলেও বাংলাদেশেও রয়েছে বিভাগীয় স্বাতন্ত্র্য। তবে প্রত্যেক বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে এক ধরনের ঐক্যসূত্র।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা তথা পৃথিবীর কোনো শাসনব্যবস্থায় পরিপূর্ণ প্রয়োগ সম্ভব হয়নি।
কোনো না কোনো হস্তক্ষেপ হয়েই থাকে সাধারণত। বংলাদেশের আইন বিভাগ শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে।
দেখা যাচ্ছে এখানে এক বিভাগের কাজ অন্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা করে থাকে। তাই ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি কোনো দেশেই পরিপূর্ণ প্রয়োগ সম্ভব নয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর। যদি তোমাদের আজকের বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।