বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর |
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর
- অথবা, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আলোচনা কর।
- অথবা, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।
- অথবা, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । প্রাচীন গ্রিস নগররাষ্ট্রে অভিজাত লোকের দ্বারা শাসনকার্য পরিচালিত হতো। এ সময় প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের প্রচলন ছিল।
কিন্তু জাতীয় রাষ্ট্রের উদ্ভবের ফলে জনসাধারণ প্রতিনিধি নির্বাচনে সক্রিয় হয়ে ওঠে। জনগণ তাদের নির্বাচন প্রতিনিধি দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনার আওয়াজ তোলে।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা : বাংলাদেশ স্বাধীনকাল হলো বলে গণতন্ত্র প্রত্যাশী। আর গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হলো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। এ উদ্দেশ্যে এ দেশের সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন শুরু করেছে
এ আদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় কতিপয় বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো:
১. একক ভোটার তালিকা : বাংলাদেশের নির্বাচনের একটি বৈশিষ্ট্য ভোটার তালিকা। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার জন্য পৃথক পৃথক ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
২. নির্বাচনি এলাকা : বাংলাদেশের সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রত্যেকটি নির্বাচনি এলাকার সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব এলাকাকে আবার কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিভক্ত করা হয়েছে যাতে ভোটারগণ স্ব-স্ব এলাকার নির্বাচনি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে পারে।
৩. বহুসংখ্যক ভোটকেন্দ্র : এদেশে ভোটদান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বহুসংখ্যক ভোটদান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
নির্বাচনির এলাকার সীমানা নির্ধারণ করে ভোটের কেন্দ্র স্থাপন করা হয় যাতে ভোটারগণ ভোট প্রদান করে থাকে।
৪. ভোটারদের যোগ্যতা নির্ধারণ : বাংলাদেশের কোনো ভোট প্রদানে ঐ ব্যক্তিকে নিম্নোক্ত যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হবেন।
(খ) বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
(গ) আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ না হলে।
(ঘ) নির্বাচনি এলাকার অধিবাসী হতে হবে।
৫. প্রত্যক্ষ নির্বাচন : এদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা মূলত প্রত্যক্ষ নির্বাচনি ব্যবস্থা। যেমন- স্থানীয় ও স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসন, পৌরসভা ও জাতীয় নির্বাচন।
৬. পরোক্ষ নির্বাচন : বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের পাশাপাশি পরোক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা বা পদ্ধতি চালু রয়েছে। যেমন- রাষ্ট্রপতি নিয়োগ ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জনগণের পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপর্যুক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ বাংলাদেশের নির্বাচনি বৈশিষ্ট্য। এ সকল প্রক্রিয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশের এ সকল নির্বাচনি বৈশিষ্ট্যের আলোকে বাংলাদেশের নির্বাচনি এ সফল নির্বাচনি বৈশিষ্ট্যগুলোকে উত্তম নির্বাচনি বৈশিষ্ট্য বললে অযৌক্তিক হবে না।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।