আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো |
আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো
- অথবা, আরবদের সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি বর্ণনা কর। ভারত ও ইসলামের ইতিহাসে এ বিজয়ের ফলাফল কী হয়েছিল?
- অথবা, আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফলের উপর একটি নিবন্ধ রচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : আরবগণ কর্তৃক সিন্ধু বিজয় ইসলামের ইতিহাসে তথা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি রোমাঞ্চকর ঘটনা।
ইসলামের অগ্রযাত্রার প্রাথমিক কয়েকটি পদক্ষেপ ব্যর্থ হলেও খলিফা আল ওয়ালিদের রাজত্বকালে মুহাম্মদ- দ-বিন-কাশিমের নেতৃত্বে আরব মুসলমানগণ কর্তৃক সিন্ধুদেশ বিজিত হয়।
রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে *এ বিজয়ের ফলাফল ছিল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। নিম্নে এ বিজয়ের ঘটনা ও তার ফলাফলগুলো আলোচনা করা হলো :
→ মুহাম্মদ-বিন-কাশিম কর্তৃক আরবদের সিন্ধু বিজয় : হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফ প্রথমে ওবাইদুল্লাহ ও পরে বুদাইল নামে দু'জন সেনাপতির নেতৃত্বে পরপর দুটি অভিযান পরিচালনা করেন।
কিন্তু উভয় অভিযান ব্যর্থ হলে হাজ্জাজ স্বীয় ভাতিজা সতের বছর বয়সের যুবক মুহাম্মদ-বিন-কাশিমকে সিন্ধু বিজয়ের সেনানায়করূপে প্রেরণ করেন।
মুহাম্মদ-বিন-কাশিমের সমর সজ্জা: মুহাম্মদ বিন কাশিমের অভিযানের প্রস্তুতির জন্য হাজ্জাজ চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেননি। হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফ বাছাই করে অতি দক্ষ সৈন্য নিযুক্ত এবং মুহাম্মদ-বিন-কাশিমকে ৬০০০ ঘোড়সওয়ার ও ৬০০০ উটের বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।
এই বিরাট বাহিনীর রসদ রাখার জন্য আরও ৩০০০ উটের ব্যবস্থা করেন। মুহাম্মদ-বিন-কাশিম এই বিরাট সৈন্যবাহিনী সমভিব্যাহারে শিরাজ ও মারকানের পথ ধরে দেবলের পথে অগ্রসর হন।
পথে তিনি আরো সৈন্য সংগ্রহ করে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করেন। অবশেষে ৭১১ সালে মুহাম্মদ বিন কাশিম দেবলে উপস্থিত হন। এই বিরাট বাহিনী পাঠিয়েও হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফ সন্তুষ্ট ছিলেন না।
তিনি সমুদ্রপথে দুর্গ অবরোধ করার যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছেন। দুর্গ অবরোধের জন্য বিরাট আকারের মনজানিক পাঠান। সখ করে এ যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছিল "আল আরুপ" বা "কনে" এবং এই যন্ত্র চালাতে ৫০০ জন লোকের দরকার হত।
দেবল অধিকার : দেবলে এসে মুহাম্মদ-বিন-কাশিম এমন অনেক দেশি সৈন্য সংগ্রহ করেন যারা দেশের শাসনকর্তার প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন ছিল।
এই সব সৈন্য পরে সিন্ধু বিজয়ে বিশেষভাবে সাহায্য করে। দেবলের দুর্গ পাথরের দ্বারা তৈরি ছিল এবং অবরুদ্ধ সৈনারা আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে প্রাণপণ যুদ্ধ করে।
মুহাম্মদ বিন কাশিমও দুর্গ দখলের জন্য সর্বপ্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। নিরুন, সিওয়ান ও সিসাম দখল দেবলের পতনে সিন্ধুরাজ দাহির বিশেষ বিচলিত হননি।
এরপর মুহাম্মদ-বিন-কাশিম নিরুন যাত্রা করেন। নিরুনের অধিবাসীরা মুসলমানদের নিকট সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে এবং অর্থ দিয়ে নিজেদের মুক্তির ব্যবস্থা করে। তিনি সামান্য বাধার পর সিওয়ান ও সিসাম অধিকার করেন।
দাহিরের পরাজয় ও মৃত্যু : মুসলিম সেনাপতির এরূপ অপ্রত্যাশিত বারংবার বিজয়ে সিন্ধু রাজা দাহির বিচলিত হয়ে পড়েন এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
মুহাম্মদ-বিন- কাশিম সিন্ধুরাজ দাহিরের রাজধানী রাওয়ায় আক্রমণ করার সংকল্প করেন এবং নদী পার হওয়ার জন্য নৌকার পুল তৈরি করার আদেশ দেন।
সম্পূর্ণ প্রস্তুতির পর ৭১২ সালের জুন মাসে তারা নদী অতিক্রম করে দাহিরের সাথে সম্মুখযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুসলমান সৈন্যদের শ্রেষ্ঠত্বের কাছে দাহিরের সৈন্যরা পরাজয়বরণ করে।
দাহির যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যায়। নেতার মৃত্যুর পর সাধারণ সৈন্যরা হীনবল হয়ে পড়ে এবং সহজেই মুহাম্মদ- বিন-কাশিম একে একে ব্রাহ্মণ্যবাদ, আরোর ও মুলতান জয় করে সিন্ধু বিজয় সম্পন্ন করেন।
সিন্ধু বিজয়ের ফলাফল : আরবদের সিন্ধু বিজয়ের ফলাফলকে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক এ পাঁচ ভাগে আলোচনা করা যায়।
(ক) রাজনৈতিক ফলাফল: সিন্ধু বিজয়ের রাজনৈতিক ফলাফল নিয়ে মতভেদ থাকলেও এর ফলাফল ছিল পরবর্তী ইতিহাসের জন্য সুদূরপ্রসারী।নিম্নে সিন্ধু বিজয়ের রাজনৈতিক ফলাফল সম্পর্কে আলোচন করা হলো :
১. তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা : আরবগণ কর্তৃক সিন্ধু বিজয়ের ফলাফল সম্পর্কে যথেষ্ট মতভেদ থাকলেও ভারতবর্ষের ইতিহাসে সিন্ধু বিজয় নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
২. উডের মন্তব্য : ঐতিহাসিক টড তার রচিত রাজস্থাে 'ইতিহাস' গ্রন্থে আরবদের সিন্ধু বিজয়কে অত্যন্ত পূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন।
৩. লেনগুলের বক্তব্য : ঐতিহাসিক স্টানলি লেনপুন বলেন, আরবগণ সিন্ধু বিজয় করেছিল। কিন্তু উক্ত বিজয় ভারতবর্ষ ও ইসলামের ইতিহাসে ছিল একটি উপাখ্যান বিশেষ এবং নিষ্ফল বিজয়।
৪. স্থায়ী শাসনব্যবস্থা : যদিও মুহাম্মদ-বিন-কাশিমের কিছু অভিযান রাজনৈতিকভাবে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারেনি তবুও সিন্ধু ও মুলতানে দেড়শত বছর পর্যন্ত মুসলিম শাসন বলবৎ ছিল।
তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সুলতান মাহমুদ ও মুহাম্মদ ঘুরী ভারতবর্ষে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করে। তাই একে নিষ্ফল বিজয় বলে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।
(খ) সামাজিক ফলাফল : পরবর্তী ভারতীয় মুসলিম ও হিন্দু সমাজে এ বিজয়ের ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। নিচে সিন্ধু বিজয়ের সামাজিক ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. সম্পর্ক স্থাপন : সিন্ধু বিজয়ের ফলে আরব ও ভারতীয়দের মাঝে একটি অন্তরঙ্গ যোগসূত্র স্থাপিত হয়। একে অপরের সংস্পর্শে এসে একে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
আরব বণিক ও সৈন্যবাহিনীদের অনেকেই হিন্দু রমণীদের পাণিগ্রহণ করেন। ফলে আর্য ও সেমেটিক জাতির সংমিশ্রণে একটি নতুন জাতির উদ্ভব হয়।
২. মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা সৃষ্টি : মুসলিম বাহিনী কর্তৃক সিন্ধু বিজয়ের ফলে সিন্ধু ও মুলতানের বেশিরভাগ জনগণ দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে। কালক্রমে এ অঞ্চল উপমহাদেশের অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত হয়।
৩. জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংস্পর্শে : সিন্ধু বিজয়ের ফলে মুসলমানরা প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞানের সংস্পর্শে আসার সুযোগ লাভ করে।
৪. মুবাল্লিগগণের ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস : ঐতিহাসিক টড বলেন- এ বিজয়ের ফলে অনেক আরব মুবাল্লিগ মুজাহিদ ও ব্যবসায়ী স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস করতে থাকেন এবং মুজাহিদ বাহিনীর একটি অংশ দীন প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন।
(গ) অর্থনৈতিক ফলাফল : অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এ বিজয়ের তাৎপর্য ছিল ব্যাপক। নিচে এর অর্থনৈতিক ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. বাণিজ্যিক যোগসূত্র : ঐতিহাসিক ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন, সিন্ধু বিজয়ের ফলে ইসলামি রাষ্ট্রসমূহের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের ঘনিষ্ঠ এক বাণিজ্যিক যোগসূত্র স্থাপিত হয়।
২. সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ : এ বিজয়ের ফলে আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের উপকূলভাগ তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উপকূলে আরব মুসলমানদের সামুদ্রিক বাণিজ্য একচেটিয়াভাবে প্রসার লাভ করে ।
৩. সমৃদ্ধশালী নগর প্রতিষ্ঠা : এ বিজয়ের ফলে সিন্ধু ও মুলতানের বিভিন্ন স্থানে বহু সমৃদ্ধশালী নগর গড়ে ওঠে।
৪. বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা : এ বিজয়ের ফলে সিন্ধু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু সংখ্যক বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
(ঘ) ধর্মীয় ফলাফল : ভারতে ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারে সিন্ধু বিজয়ের ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। নিচে সিন্ধু বিজয়ের ধর্মীয় ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. ইসলাম প্রচার : সিন্ধু বিজয়ের পরবর্তী সময়ে অসংখ্য পীর-মাশায়েখ ও ওলামা ইসলাম প্রচারের জন্য ভারত উপমহাদেশে আগমন করতে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক শতাব্দী পরে খাজা মঈনউদ্দীন চিশতি (রহঃ), বায়েজিদ বোস্তামি, হযরত শাহজালাল প্রমুখ উল্লেখযোগ্য আলেমগণ উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে আগমন করেন।
ঐতিহাসিক আরনল্ড টয়েনবী বলেন, আরব বণিক ও ঐশী প্রেমে শান্ত এ সমস্ত পীর-দরবেশের প্রচারের ফলে ইসলাম ধর্ম ভারতবর্ষে অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছিল।
২. ধর্মীয় সহিষ্ণুতা : ড. তারাচাঁদ বলেন, আরব শাসনে নিম্নশ্রেণির হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা সামাজিক মর্যাদা লাভ করে। এর ফলে ইসলামের একত্ববাদে তারা আকৃষ্ট হয়।
পীর- দরবেশদের প্রভাবে দলে দলে নির্যাতিত হিন্দু ধর্মাবলম্বী ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। বর্তমান পাকিস্তান এলাকায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা এই আরব অভিযানেরই ফল।
(ঙ) সাংস্কৃতিক ফলাফল: সিন্ধু বিজয়ের সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্য করা যায় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে। নিচে সিন্ধু বিজয়ের সাংস্কৃতিক ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
১. সুদূরপ্রসারী বিজয় : সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরবদের সিন্ধু বিজয়ের গুরুত্ব অপরিসীম ও সুদূরপ্রসারী। ড. ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন, হিন্দু সংস্কৃতির ওপর এ বিজয়ের ফলাফল ছিল গভীর ও সুদূরপ্রসারী। এর ফলে উপমহাদেশে দুটি ভিন্নধর্মী ধর্ম ও সভ্যতা একে অপরের সংস্পর্শে আসে।"
২. প্রভাব বিস্তার : এ বিজয়ের ফলে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির বহু উপাদান আরবিয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। সেগুলো হলো হিন্দু ধর্ম, দর্শন, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, সাহিত্য, দাবা, স্থাপত্য প্রভৃতি।
৩. অনুবাদ কার্যাবলি : আব্বাসীয় খলিফাগণ ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞানের গ্রন্থগুলোকে আরবিতে অনুবাদ করে এক স্বর্ণযুগের সূচনা করেন। তারা ভারতীয় হিন্দু পণ্ডিতদের বাগদাদে নিয়ে যান। আরবিয় পণ্ডিতরাও ভারতে এসে জ্ঞানচর্চা করেন।
৪. ভক্তি আন্দোলন : হিন্দু ও মুসলমানদের মিলনের প্রতীক "ভক্তিনীতি" উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সমঝোতা এবং সহাবস্থা নীতির সূচনা করে। আরবদের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ফলে এদেশে ভক্তি আন্দোলন ও ব্রাহ্মসমাজ গড়ে ওঠে ।
৫. বিভিন্ন নীতির সাথে পরিচিত : আরবদের এ বিজয়ের ফলে ভারতীয়গণও আরবদের ধর্ম, মতবাদ, আদর্শ, আচার - অনুষ্ঠান প্রভৃতির সাথে পরিচিত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তরুণ সেনাপতি মুহাম্মদ-বিন-কাশিম তার অসাধারণ বীরত্ববলে প্রভাবশালী রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু দখল করেন।
যার ফলে ভারত উপমহাদেশে মুসলিম আধিপত্য বিস্তার করেছিল এবং যার | ফলশ্রুতিতে আরবিয় ও ভারতীয়রা এক নতুন সংস্কৃতির সৃষ্টি করে। আরবদের সিন্ধু বিজয়ের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।
সিন্ধু বিজয়ের মধ্য দিয়ে হিন্দু মুসলিম মিশ্র সংস্কৃতির গোড়াপত্তন হয় । সিন্ধু বিজয়ের সূত্র ধরেই ভারতবর্ষে ইসলামের বীজ রোপিত হয়। তাই আর. সি. মজুমদার বলেছেন “মুসলমানগণ কর্তৃক ভারতবর্ষ বিজয় অন্যতম যুগান্তকারী ঘটনা।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো । যদি তোমাদের আজকের আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।