অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর |
অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর
- অথবা, অলিখিত সংবিধানের দোষগুলো কী কী?
- অথবা, অলিখিত সংবিধানের ত্রুটিগুলো কী কী?
- অথবা, অলিখিত সংবিধানের পাঁচটি অসুবিধা লেখ।
উত্তর : ভূমিকা : অলিখিত সংবিধান এমন একটি সংবিধান যেখানে সকল বিষয় লিখিত না থেকে প্রথা-রীতিনীতি, রাষ্ট্রের প্রধানদের চিন্তা ধারায় সে দেশ পরিচালিত হয়।
সেখানে কোনো কিছু স্পষ্ট লিখিত থাকে না। সকল বিষয় আলোচনার মাধ্যমে রীতিনীতি অনুযায়ী পরিচালিত হয়, তা হলো অলিখিত সংবিধান।
→ অলিখিত সংবিধানের দোষ : অলিখিত সংবিধানের দোষ অনেক। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো :
১. অস্পষ্ট : অলিখিত সংবিধান অস্পষ্ট। অস্পষ্ট বলে এখানে মানব জীবনের সকল বিষয়াদি ফুটে উঠে না। এটা অলিখিত সংবিধানের একটি দোষ।
২. অলিখিত : সংবিধান অলিখিত বলে মানব জীবনের কোনো বিষয়াদি লিখিত থাকে না, লিখিত থাকে না বলে ব্যক্তির অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে ব্যক্তি অবগত থাকতে পারে না।
ব্যক্তি প্রতারিত হতে পারে। কারণ এটা সংবিধানে অলিখিত বলে হয়ে থাকে।
৩. স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকাশ : রাষ্ট্রের যারা ক্ষমতাধর, তারা স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করে। যেহেতু আইন, বিচার, অধিকার সম্পর্কে লিখিত কোনো বক্তব্য নেই।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা এখানে স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করে। যা ব্যক্তি জীবনে এমনকি রাষ্ট্রের তা অপ্রত্যাশিত এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য বলা যায়, অলিখিত সংবিধান নানা দোষে দোষী। -
৪. অধিকার সম্পর্কে স্পষ্টতার অভাব : মানুষের অধিকার সম্পর্কে অলিখিত সংবিধানে কোনো কিছু উল্লেখ থাকে না। আর নাগরিক জীবনে এটা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বলা হয়, অলিখিত সংবিধান নানা দোষে দোষী।
৫. গ্রহণযোগ্য নয় : অলিখিত সংবিধান সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি বৃদ্ধি পায়। ক্ষমতার পালা বদল হতে পারে না।
সংবিধান অলিখিত বলে এজন্য বলা হয়, অলিখিত সংবিধানের গ্রহণযোগ্যতা বতর্মান বিশ্বে প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, লিখিত সংবিধান এমন একটি সংবিধান যেখানে ব্যক্তির জীবনের সকল কিছু স্পষ্ট আকারে লিপিবদ্ধ থাকে।
আর অলিখিত সংবিধানে ব্যক্তির জীবনের সকল দিক স্পষ্ট আকারে লিখিত থাকে না। এজন্য লিখিত সংবিধানের বিচারে অলিখিত সংবিধান দোষে ভরপুর।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।