একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর |
একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর
- অথবা, একটি গ্রহণযোগ্য সংবিধানের বৈশিষ্ট্য লেখ।
- অথবা, উত্তম সংবিধানের গুণাবলি আলোচনা কর।
- অথবা, একটি উত্তম সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : সংবিধান একটি দেশের লিখিত দলিল, সে দলিল অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হয়। যদি সে দলিল ত্রুটিপূর্ণ হয়। তবে দেশে অরাজকতা, অস্থিরতা বিরাজ কররে। তাই সংবিধান হতে হবে উত্তম ও গ্রহণযোগ্য।
তবে উত্তম ও গ্রহণযোগ্য সংবিধানের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। এ বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে বুঝা যায় সে সংবিধান উত্তম বা ভালো ।— উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য : নিম্নে সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. লিখিত সংবিধান : সংবিধান উত্তম কি-না তা লিখিত বা অলিখিত দুইয়ের উপর নির্ভর করে না। তবে সংবিধান উত্তম কি. মা তা অনেকটা নির্ভর করে সংবিধানে কোন কোন বিষয়াদি স্পষ্টভাবে লেখা আছে। যা হরণ করা দণ্ডনীয়। এসব কারণ বিবেচনায় বলা যায় লিখিত সংবিধান উত্তম।
২. সুস্পষ্ট সংবিধান : উত্তম বা ভালো সংবিধানের জন্য বৈশিষ্ট্য হলো যে এখানে যা থাকবে সুস্পষ্ট থাকবে। যা সহজে বোধগম্য হওয়া যায়। অস্পষ্ট কোনো কিছু থাকবে না। অস্পষ্ট বিষয়ে অনেক সমস্যা দেখা যায়। তাই সংবিধান যদি সুস্পষ্ট হয়। তবে তাকেই উত্তম সংবিধান বলা যাবে।
৩. স্থায়িত্ব : উত্তম বা ভালো সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সংবিধানকে স্থায়ী হতে হবে। আজ এ বিষয় আছে কাল আবার এ বিষয় থাকবে না তা হতে পারবে না; তাহলে সংবিধান তার গ্রহণ যোগ্যতা হারাবে। সংবিধানে যা থাকবে তা যেন দীর্ঘ স্থায়ী হয়। তবেই সংবিধানকে উত্তম বলা যাবে।
৪. সংক্ষিপ্ত সংবিধান : অল্প কথায় কাজ হলে বেশি কথার প্রয়োজন নেই। সংবিধানে যা থাকবে স্পষ্ট থাকতে হবে এবং তা যেন সংক্ষিপ্ত আকারে থাকে।
সংক্ষিপ্ত আকারে যদি সকল বিষয় উল্লেখ থাকে, তবে সহজে সে বিষয় সম্পর্কে জানাও বুঝা যায়। বৃহৎ আকারে থাকলে অনেক বিষয় অস্পষ্ট থাকে তাই সংবিধানের সব বিষয় থাকবে তবে সংক্ষিপ্ত আকারে। তবেই তাকে উত্তম সংবিধান বলা যায়।
৫. বিশিষ্ট জন স্বীকৃত : কোনো কিছু তখনই ভালো, যখন মানুষ সেটাকে ভালো বলে। তার চেয়েও বেশি ভালো হয় যখন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তা ভালো বলে।
একটি সংবিধান প্রণয়ন করার পর যদি সংবিধান বিশেষজ্ঞরা তা ভালো বলে তবেই তা ভালো এবং তা উত্তম সংবিধান রূপে প্রতিয়মান হয়।
৬. বিবিধ : উত্তম সংবিধানের কতিপয় বৈশিষ্ট্য থাকবে যা হতে স্পষ্টরূপে অনুমান করা যায়, এটা উত্তম, আইন, বিচার, নির্বাচন সরকার গঠন পদ্ধতি, নাগরিকের অধিকার কর্তব্য সকল বিষয় উল্লেখ থাকবে; তবেই তা উত্তম সংবিধান রূপে পরিগণিত হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একটা আদর্শ বা উত্তম সংবিধান একটা দেশের অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। একটি দেশের সকল ক্ষেত্রেই সংবিধান অনুসরণ করা হয়।
সংবিধান অনুযায়ী, দেশ পরিচালিত হয়। যেহেতু সংবিধানকে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য ও যুগ উপযোগী হতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।