এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লেখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মধ্যে পার্থক্য কী |
এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লেখ
- অথবা, এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর।
- অথবা, এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখাও।
- অথবা, এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।'
উত্তর : ভূমিকা : এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত দু'ধরনের সরকার ব্যবস্থা ব্যবস্থা। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তাবিদগণ ক্ষমতা বণ্টনের ভিত্তিতে সরকারকে এ দু'ভাগে বিভক্ত করেছেন।
বিশ্বের যেকোনো সরকারই হয় এককেন্দ্রিক, না হয় যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার। এককেন্দ্রিক সরকারে সংবিধান অনুসারে সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে।
পক্ষান্তরে, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে সকল ক্ষমতা সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে বণ্টন করা হয়।
এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীর সরকারের পার্থক্য : একটেছি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার হলো মুক্তি আধুনিক সরকার। সরকারে ভিন্ন ভিন্ন শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। এককেন্দ্রিক ও যুক্ত সরকারের মধ্যে কতিপয় পার্থক্য বিদ্যা চ দেওয়া হলে
১. সংজ্ঞাগত পার্থক্য : এককেন্দ্রিক সরকার হলে এ এক ধরনের সরকার ব্যবস্থা যেখানে সাংবিধানিকভাবে সকল ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে প্রবর্তিত হয়।
অন্যদিকে, সরকার হচ্ছে এমন এক ধরনের সরকার যেখान। আলোকে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়।
২. সরকারের রূপ : এককেন্দ্রিক সরকারে একটি যাত্র | সরকার থাকে। ঐ সরকারই মূল ক্ষমতার অধিকারী। বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে দু'ধরনের সরকার থাকে।
যথা- কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকার। উভয় সরকার সংবিধান অনুসার নিজ নিজ এলাকায় কাজ করে।
৩. ক্ষমতার উৎস : এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থায় সব ক্ষমতার উৎস হলো কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারই সকল আদেশ, নির্দেশের অধিকারী।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় সকল ক্ষমতার উৎস হলো সংবিধান। কেননা সংবিধানের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়।
৪. সাংবিধানিক পার্থক্য : এককেন্দ্রিক সরকারের সংবিধান সাধারণত সুপরিবর্তনীয়। কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় হওয়া আবশাক নয়।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সংবিধান লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় হওয়া আবশ্যক। কারণ এধরনের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা সংবিধান অনুসারে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে কটন করা হয়।
৫. বিচার বিভাগের পার্থক্য : এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার বিচার বিভাগ সাধারণত দুর্বল প্রকৃতির। কেন্দ্রীয় আইনসভায় কোনো বিধানকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারে না।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে এটি সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত থাকে। শাসনতন্ত্র রক্ষা ও ব্যাখ্যার দায়িত্ব এই আদালতের উপর ন্যস্ত থাকে।
৬. ক্ষমতাগত পার্থক্য : এককেন্দ্রিক সরকারে রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নাস্ত থাকে। কেন্দ্রই মূল ক্ষমতার উৎস।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। এ সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেন্দ্র ও প্রদেশের হাতে ন্যস্ত থাকে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, এককেন্দ্রিক ও যুক্তর সরকার দুটি ভিন্ন সরকার ব্যবস্থা। উভয় শাসনব্যবস্থায় উপর্যুক্ত বিষয়ে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান।
কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে উভয় সরকারের মধ্যে পার্থক্যের দেওয়াল দিন দিন কমছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মধ্যে পার্থক্য কী। যদি তোমাদের আজকের এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মধ্যে পার্থক্য কী পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।