পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ
গোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ |
গোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ
উত্তর : ভূমিকা। দ্বিতীয় আনুপ্রাহর রাজত্বকালে ওমর বিন হাফলুন স্পেনীয় দাগের বিদ্রোহীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী এবং তার অধিকৃত অঞ্চলটির বেশ বড় রকমের একটি খণ্ডের বাস্তব অধিপতি, যার আয়তন তিনি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে প্রসারিত করা অব্যাহত রাখেন।
আমির আব্দুল্লাহ ওমরকে সমুচিত শিক্ষাদানের জন্য অভিযান প্রেরণ করেন এবং পোলের যুদ্ধে ওমরকে পরাজিত করেন।
ওমরের এখানেই পতনের সূচনা হয় যা পরবর্তীকালে তৃতীয় আব্দুর রহমানের রাজত্বকালে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। এজন্য স্পেনের ইতিহাসে পোলের যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
→ পোলের যুদ্ধ : ওমর ইবনে হাফসুন দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর রাজত্বকালের গোলযোগপূর্ণ অবস্থা এবং প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করেন। তিনি জায়েন, ইসিজা, ইসটেপা এবং আরকিডোনা অধিকার করেন।
তিনি অধিকৃত অঞ্চলে সন্তুষ্ট না থেকে কর্ডোভা অধিকার করার পরিকল্পনা করেন। কর্ডোভার পতন ঘটলে আব্দুল্লাহ হবেন রাজ্যহীন রাজা । এরূপ পরিস্থিতিতে আব্দুল্লাহর রাজকোষ একেবারে শূন্য হয়ে পড়ে, প্রদেশসমূহ কেন্দ্রে রাজস্ব প্রেরণ বন্ধ করায় পূর্বের তুলনায় রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়ায় তিনভাগের একভাগ।
সেনাদের বেতন দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি একাধিকবার ইবনে হাফসুনের সাথে বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে চেষ্টা করেন কিন্তু ওমর ঘৃণার সাথে সন্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ।
ইবনে হাফসুন কর্ডোভা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানতে পেরে আব্দুল্লাহ শত্রুর সম্মুখীন হতে সাহস সঞ্চার করেন। তিনি ইবনে হাফসুনের নিকটতম দুর্গ ইসিজা অধিকার করার অভিপ্রায়ে সেকুন্দার সমভূমিতে তার অশ্বারোহী বাহিনী সমাবেশ ঘটান।
৮৯১ খ্রিস্টাব্দে ১৫ মে তারিখে সেনাবাহিনী কর্ডোভা ত্যাগ করে। আব্দুল্লাহর সেনাপতি আব্দুল মালিক বিন উমাইয়া ৪,০০০ নিয়মিত সৈন্য ও ১০,০০০ নতুন সংগৃহীত সৈন্য নিয়ে পোলের দিকে অগ্রসর হন।
ওমর ৩০,০০০ সুদক্ষ সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে দুর্গ হতে দেড় ক্রোশ দূরে নদীর তীরে শিবির স্থাপন করেন। ১৬ এপ্রিল, ৮৯১ খ্রিস্টাব্দে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। উমাইয়া সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া সত্ত্বেও আব্দুল্লাহ নিজে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নাই।
আমিরের সেনাবাহিনীর পূর্ণ শক্তি ও সাহসিকতার সহিত যুদ্ধ করেন। অপরদিকে প্রাণপণ চেষ্টা করেও ওমর পরাজিত হয় । কিছু সংখ্যক সেনা নিয়ে ওমর পোলের দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করেন। আরবদের পশ্চাদ্ধাবনের তীব্রতায় বাকি অংশ এচিজার দিকে পালিয়ে যায়।
আব্দুল্লাহ প্রচুর যুদ্ধ সামগ্রী ও ধন সম্পদসহ পোলের দুর্গ অধিকার এবং এচিজা অবরোধ করলে অতি সহজে উহার পতন ঘটে । অতঃপর তিনি বোবাস্ট্র অভিমুখে যাত্রা করেন। ক্লান্ত শ্রান্ত সেনাবাহিনী আর্কিডোনা ও এলভিরার মধ্য দিয়া কর্ডোভা প্রত্যাবর্তনকালে জায়েন আত্মসমর্পণ করে । এভাবে দেশের দক্ষিণাংশে সাময়িকভাবে আমিরের শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করে ।
এদিকে আফ্রিকা ও আব্বাসীয়দের কাছ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ওমর আব্দুল্লাহর সাথে সন্ধিতে আবদ্ধ হন এবং দত্তক পুত্র জামিন হিসাবে প্রেরণ করেন। তার এ ধূর্তামির জন্য অচিরেই যুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং ওমর ইসিজা পোলি পুনরুদ্ধার করে জায়েন গ্রানাডা দখল করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পোলের যুদ্ধ ছিল ওমরের জন্য পতনের প্রথম ধাপ যা চূড়ান্ত হয় তৃতীয় আব্দুর রহমানের শাসনামলে। অন্যদিকে, উমাইয়া সাম্রাজ্য প্রায় পতন হয়ে যাচ্ছিল। এ যুদ্ধের দ্বারা পতনোন্মুখ উমাইয়া সাম্রাজ্য আপাতত রক্ষা পেল।
তাই বলা যায় যে, পোলের যুদ্ধ স্পেনের ইতিহাসে একটি অতীব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এ যুদ্ধে উমাইয়াদের পতন যেমন ছিল মারাত্মক তেমনি জয়ের ফলে পতন শুরু হয় ওমর বিন হাফসুনের ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ গোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গোলের যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | পোলের যুদ্ধ সম্পর্কে একটি টাকা লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।