নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর
নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর |
নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর
অথবা, নারী নির্যাতনের স্বরূপ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর : সূচনা : সমাজ যে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে তার দুটি বাহু আছে- একটি নারী অপরটি হলো পুরুষ। যে কোন একটি ছাড়া সমাজ গঠন সম্ভব হবে না। দেশ ও মানব সম্পদ উন্নয়নে নারীর অবদান রয়েছে। সমাজ ও দেশে নারীর অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে বলেই পৃথিবীতে এত নির্যাতন-অত্যাচার চলছে।
→ নারী নির্যাতনের স্বরূপ : পৃথিবীতে নারী নির্যাতনে কয়েকটি স্বরূপ তুলে ধরা হলো-
১. নারী হত্যা : বর্তমান বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়ে থাকে তার একটি অংশ হলো নারী। এসব হত্যাকাণ্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এ হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগই যৌতুক ও বহুবিবাহের কারণে হয়ে থাকে। এই নারী হত্যার চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে থাকে যা কল্পনাতীত। যেমন- নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, ধারালো ছুরি বা বঁটি দিয়ে হত্যা। কিংবা শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় নারীকে
২. ধর্ষণ : জোরপূর্বক বল প্রয়োগের মাধ্যমে নারী ও শিশুর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে বলা হয় ধর্ষণ। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ধর্ষণ নামে এই ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করা হয় এবং ধর্ষণ করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়। আবার ধর্ষণের পর নারীকে হত্যা করা হয়। এই হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহ জঘন্যতম করুণ চিত্র।
৩. গর্ভপাত : নারীর সহিংসতার অন্যতম একটি দিক হলো গর্ভপাত। নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধেও অনেক সময় গর্ভপাত করা হয় । গর্ভপাত করানো নারীর জন্য একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও মারাত্মক কষ্টের কাজ। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ, যেমন : ভারত, চীন, কোরিয়া বে-আইনি হওয়ার পরেও ভ্রূণ হত্যা করা হয়।
এভাবে নারীর বার বার গর্ভপাত করানো নারীর শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং এ কারণেই নারীর অকাল মৃত্যু ঘটে। এটি নারী সহিংসতার একটি বিশেষ চিত্র।
→ বাংলাদেশে নারী সহিংসতা : বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে- বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। ১৯৯৩ সাল থেকে “বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা” শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের চিত্র তুলে ধরা হলো :
© সর্বসাকুল্যে ২০১৫ সালে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধষর্ণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে ৩৫% বেড়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতন ২৮% ।
২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে কমেছে গৃহকর্মী নিযার্তন ৫৬% ফতোয়া ৪৩% এসিড সন্ত্রাস ২২%।
২০১৫ সালে ১৮৪৭ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়ে ৩০১ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
২০১৫ সালে প্রকাশিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত সহিংসতার শুধুমাত্র এক-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপসংহার : সমগ্র পৃথিবী জুড়ে আমরা নারীর প্রতি এই সহিংসতার রূপ দেখতে পাই। এই সহিংসতার বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্ত রে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগ এর মাধ্যমে এই নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব। অন্যথায়, ক্রমে ক্রমে এই সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে দেশ একটি বিপর্যয়ে পতিত হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারীর প্রতি সহিংসতার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।