নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর
নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর |
নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর
- নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ
- নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ সম্পর্কে যা জান লিখ
উত্তর : সূচনা : দৃষ্টিভঙ্গিগত দিক থেকে সামজিকীকরণ দুই ধরনের হতে পারে। যথা : ইতিবাচক ও নেতিবাচক। নেতিবাচক সামাজিকীকরণ নারীকে পুরুষের সহগামী না করে পুরুষের অনুগামী করে গড়ে তুলে। প্রশ্নের আলোকে নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো :
১. নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ : যখন একজন নারী জন্মলগ্ন থেকে পুরুষের তুলনায় ভিন্ন এবং অধস্তন মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠে, সেটিই হলো নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ।
২. নারী সম্পর্কে ধারণা : পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে দুর্বল ও অক্ষমতার সমার্থক করে দেখা হয়। নারীকে বিভিন্ন নামে সম্বোধন করা হয় যেমন— মেয়ে মানুষ, মেয়ে লোক, মেয়ে ছেলে ইত্যাদি ।
৩. নারী পুরুষ সম্পর্কে ধারণা : পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষকে সাহসী ও সক্ষমতার প্রতীক বলে গণ্য করা হলেও নারীকে দুর্বল ও অক্ষমতার প্রতি হিসেবে মনে করা হয়।
৪. শিক্ষার ক্ষেত্রে অসমতা : নারীর শিক্ষা গ্রহণকে একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ বলে মনে করা হয়। যা নেতিবাচক কারণসমূহের একটি। নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করুক তারা সেটা চায় না। যার ফলে নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ঘটে ।
৫. অধিকার বঞ্চিত : নারীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কারণে নেতিবাচক সামাজিকীকরণ দেখা যায়। পুরুষগণ নারীর সম্পত্তির অধিকার কোনভাবে দিতে চায় না। যার ফলে সমাজে নেতিবাচক সামাজিকীকরণ দেখা যায়।
৬. অসচেতনতা : নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণের অন্যতম একটি কারণ হলো সমাজের মানুষের অসচেতনতা। যার ফলে মানুষ যার যেমন ইচ্ছা করে বেড়ায়। সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ করা সম্ভব ।
৭. কর্মের অবমূল্যায়ন : নারীকে অনুৎপাদনশীল ও মজুরিহীন কর্ম বলে মনে করা হয়। নারীকে গৃহ পরিচারিকা ও সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় । যার ফলে নারীর জীবনে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায় ।
৮. বিভাজন : নারী ও পুরুষের বিভাজনের মাধ্যমে সমাজে সামাজিকীকরণ ঘটে। সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনের মাধ্যমে এই বিভাজন দূর করতে পারলে নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ দূর হবে।
উপসংহার : নারীকে পুরুষের সহগামী করার পরিবর্তে অনুগামী করে তোলার ফলে সমাজে নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ লক্ষ্য করা যায় । নারীর ক্ষেত্রে খেলাধুলার জিনিসের প্রতি নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
এই নেতিবাচক সামাজিকীকরণের ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বিরূপ আচরণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই নেতিবাচক সামাজিকীকরণ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারীর নেতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।