নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর
নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর
নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ
নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ সম্পর্কে যা জান লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : সামাজিকীকরণ দুই রকমের হতে পারে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রতিষ্ঠিত ও সমমর্যাদাভিত্তিক মূল্যবোধ দ্বারা গঠিত সামাজিকীকরণ হলো ইতিবাচক সামাজিকীকরণ। প্রশ্নের আলোকে নারীর ইতিবাচক সামাজিককীকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ : ইতিবাচক সামাজিকীকরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা নারী পরিপূর্ণ মানুষ রূপে গড়ে ওঠতে এবং ভালোমন্দ উচিত-অনুচিত ও ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। এতে লিঙ্গভেদে নারী ও পুরুষের জন্য ভিন্ন কিছু নেই ।
নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা কর |
২. মতামতের প্রাধান্য : পরিবারে নারী ও পুরুষের সকলের মতামত প্রয়োজন। যে কোন ব্যাপারে পুরুষের পাশাপাশি নারীর মতামতের প্রাধান্য দানের মাধ্যমে নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ হবে।
৩. বিভাজন : ইতিবাচক সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে ইত্যাদি বিভাজন অনুপস্থিত থাকবে। মানুষকে একমাত্র নৈতিকতাপূর্ণ শিক্ষায় মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। তাই যে কোন ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের উভয়কে সমান মর্যাদা ও অধিকার দান করতে হবে । তাহলে নারীর সামাজিকীকরণ হবে।
৪. সচেতনতা বৃদ্ধি : একমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজে নারীর সচেতনতা বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। অসচেতন সমাজ ব্যবস্থায় কোনভাবে নারীর সামাজিকীকরণ ঘটাতে পারবে না। ইতিবাচক সামাজিকীকরণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন ।
৫. শিক্ষার ক্ষেত্রে সমতা : শিক্ষা এমন একটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা ব্যতীত সমাজ ও রাষ্ট্র জীবন কল্পনা করা যায় না। সকল নারী-পুরুষকে নৈতিকতাপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজ ও দেশ উন্নত হবে, ফলে নারীর সামাজিকীকরণ ঘটবে ।
৬. নারীর অধিকার প্রদান : সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে নারীর, ইতিবাচক সামাজিকীকরণ হবে এবং নারীরা তাদের অধিকারও ফিরে পাবে।
উপসংহার : সকল প্রকার অত্যাচার-নিপীড়ন, ন্যায়-অন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীর সামাজিকীকরণ হয় । নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ব্যতীত নারীর ইতিবাচক সামাজিকীকরণ সম্ভব হবে না। নারীর সামাজিকীকরণে সকলের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন ।