নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় | নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায়
নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় | নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় | নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় | নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় |
নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় | নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায়
- নারী নির্যাতন বন্ধের উপায়সমূহ কী কী
- নারী নির্যাতন বন্ধের উপায়সমূহ বর্ণনা কর
- নারী নির্যাতন বন্ধের উপায়সমূহ উল্লেখ কর
- নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তোমার সুপারিশ কি
উত্তর : ভূমিকা : নারী ও পুরুষ একজন মানুষের দুটি চক্ষুর মতো, যার একটির চেয়ে অন্যটি কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং বলা যায়
নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক। যার একটি বাদ দিয়ে অন্যটি সফলতা লাভ করতে পারে না। কিন্তু তারপরও আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে আমাদের নারীসমাজ নির্বাচিত ও নিপীড়িত হয়ে থাকে ।
→ নিচে নারী নির্যাতন বন্ধের কতিপয় উপায় নির্দেশ করা হলো :
১. পুরুষতন্ত্রের অবসান : নারী নির্যাতন বন্ধের প্রথম উপায় হলো পুরুষতন্ত্রের অবসান ঘটানো। কারণ যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতন্ত্র সমাজে এক অদৃশ্য সাম্রাজ্য স্থাপন করেছে। যেখানে নারীদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে জুলুম নির্যাতন করা হয় । তাই নারী নির্যাতন বন্ধে এই পুরুষতান্ত্রিকতার অবসান ঘটাতে হবে ।
২. শিক্ষার হার বৃদ্ধি : আমাদের দেশের নিরক্ষরতার হারও নারী নির্যাতনের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। কারণ অশিক্ষিত পিতা- মাতা বা স্বামী নারীকে সম্পদ না ভেবে বরং বোঝা ভাবে এবং তাকে অধীনস্থ করে রাখার জন্য নির্যাতন করে। তাই শিক্ষার হার বৃদ্ধির মাধ্যমেও এই নারী নির্যাতনের হার হ্রাস করা সম্ভব।
৩. নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ : আমাদের সমাজব্যবস্থায় নারী নির্যাতনের একটা প্রধান ও বড় কারণ হলো নারীদের আর্থিক অনুৎপাদনশীলতা। নারীরা উৎপাদনশীল কাজে যোগান দিতে না পারায় তারা পিতা-মাতা বা স্বামী সকলের কাছে বোঝা হিসেবে বিবেচিত হয় । তাই নির্যাতন বন্ধে নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. সুবিচার নিশ্চিতকরণ : বাংলাদেশের সমাজ কাঠামো পুরুষ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এখানে নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়ে সমাজের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রকার প্রতিকার বা সুবিচার পায় না। আর নারী নির্যাতনের উপযুক্ত শাস্তি বিধান না থাকায় অনেকে নারী নিপীড়নে উৎসাহবোধ করেন । তাই নারী নির্যাতন বন্ধে সুবিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে ।
৫. রাজনীতিতে অংশগ্রহণ : আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষপদে নারীরা থাকলেও অন্যান্য পদে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই নগণ্য। ফলে পুরুষ রাজনীতিবিদরা কোন নারী বান্ধব আইন তৈরিতে আগ্রহী নয়। তাই নারী নির্যাতন বন্ধে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলে তারা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হবে।
৬. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি : উপরিউক্ত পদক্ষেপের পাশাপাশি নারী নির্যাতন বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরি হলে সবাই এই কাজ থেকে বিরত থাকবে। ফলে বন্ধ হবে নারী নির্যাতন এবং আত্মবিকাশ ঘটবে নারী সম্প্রদায়ের।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, নারীরা আমাদের সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই তাদেরকে পেছনে রেখে জাতি তার কাঙ্ক্ষিত সফলতা লাভ করতে পারবে ন তাই পুরুষতান্ত্রিকতার অবসানের পাশাপাশি নারীদের অধিকার সংরক্ষণে সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় | নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারী নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় | নারী নির্যাতন প্রতিরোধের চারটি উপায় । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।