নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর
নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর |
নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : একটি সমাজ বা দেশের দুটি সমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নারী ও পুরুষ। এর একটি অন্যটির পরিপূরক । তাই এর কোনটিকে পরনির্ভরশীল করে ঐ দেশ তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করতে পারেন।
সমাজের অর্ধেক অংশ নারী হলেও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ ধর্মীয় কারণে আমাদের দেশে নারীসমাজ বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও বঞ্চিত হয়।
নিম্নে প্রশ্নালোকে নারী নির্যাতনের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো :
১. দৈহিক নির্যাতন : আমাদের সমাজব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক হওয়ায় এখানে নারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। ফলে নারীকে পুরুষের ইচ্ছার সামগ্রী হয়ে থাকতে হয়। পুরুষের ইচ্ছার বাইরে গেলে তাকে নানা রকম দৈহিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় । অনেক সময় তা নারীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
২. মানসিক নির্যাতন : আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে নারীরা শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও বেশি নির্যাতিত হয় মানসিকভাবে। এখানে প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে তার পিতা, স্বামী, ভাই ও পুরুষ আত্মীয়-স্বজনের তীব্র নজরদারিতে থাকতে হয় । এ মানসিক নির্যাতনের ফলে নারীদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় ।
৩. যৌন নির্যাতন : বর্তমান সভ্যতার উৎকর্ষতার যুগে আমাদের নারীসমাজ পুরুষদের দ্বারা বিভিন্নভাবে যৌন নিগ্রহ, নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন। বাড়ি ঘর, স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার বা রাস্তা হাট কোথাও নিরাপদ নয় আমাদের নারী সমাজ । সর্বত্রই যৌন নিপীড়কদের অদৃশ্য হাত তাদের তাড়া করে চলছে।
৪. বিচারিক নির্যাতন : আইনের একটা সহজ ধারা হলো এটি নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান হবে। কিন্তু সমাজব্যবস্থার পুরুষতান্ত্রিকতার কারণে আমাদের নারীসমাজ নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েও সমাজের কাছে তার উপযুক্ত বিচার পায় না । বরং অধিকাংশ সময় তাদেরকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
৫. যৌতুকের জন্য নির্যাতন : আমাদের গ্রাম বাংলার নারী নির্যাতনের একটা বড় কারণ হলো যৌতুক সংক্রান্ত নির্যাতন । গরিব পিতা-মাতা তার কন্যাসন্তান বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রপক্ষকে বড় পরিমাণের যৌতুক দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু বিয়ের পর তা না দিলে অবলা-অসহায় নারীদের উপর শুরু হয় নির্মম জুলুম, নির্যাতন।
৬. ছেলে সন্তানদের জন্য নির্যাতন : অশিক্ষিত গ্রামীণ সমাজে কৃষি অর্থনীতির জন্য ছেলে সন্তানের চাহিদা বেশি। ফলে কোন মহিলা ছেলে সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হলে তাকে অভাগা, অপয়া, অলক্ষুণে ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে জুলুম নির্যাতন করা হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের সমাজে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। আর এই নির্যাতনের পেছনে প্রধান কারণই হচ্ছে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা। তাই দেশের উন্নতির জন্য সকল প্রকার নারী নির্যাতন বন্ধ করে তাদের আত্মবিকাশের সুযোগ দিতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নারী নির্যাতন কত প্রকার আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।